ভিড় এড়াতে সরকারি অফিসে কাজ হবে ২ শিফটে, বেসরকারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন কাটিয়ে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। খুলে গিয়েছে অফিস কাছারি। অফিস যাওয়ার জন্য মানুষজনকে রাস্তায় বেরতে হচ্ছে। কিন্তু এখনও ট্রেন চালু হয়নি। রাস্তায় বাসেরও সংখ্যা অপর্যাপ্ত। ফলে অফিস পৌঁছতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে মানুষের। সেইসঙ্গে ভিড়। শিকেয় উঠছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং।
এই পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে সরকারি অফিসগুলিতে শিফটিং ডিউটি চালুর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটে আর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা, এই দুই শিফটে ভাগাভাগি করে সরকারি অফিসে কাজ হবে। ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেল পর্যন্ত শিফটিং ডিউটি হবে।
পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি অফিসে হাজিরার ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হলে কোনওরকম লাল কালির দাগ পড়বে না। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই মর্মে নবান্নের তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। ১১ জুন থেকে সরকারি অফিসগুলিতে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
পুরসভার কর্মীরা জানাচ্ছে, এভাবে শিফটিং ডিউটি হলে তাঁদের সুবিধা-ই হবে। এখন সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যাচ্ছে না। যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। ভিড় কমাতে এদিন বেসরকারি অফিসগুলোতেও শিফটিং ডিউটি চালুর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার উপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে অভিযোগ করেন, "বেসরকারি সংস্থায় যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না।" তবে কঠিন পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার তার কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতন দিয়েছে বলে জানান তিনি।