গল্প হলেও বাস্তাব, ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হল ছোট ছবি `হ্যালো ডাক্তারবাবু`
করোনা আবহে বর্তমান সমাজে একজন ডাক্তারের গুরুত্ব নিশ্চই আলাদা করে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। তারা বর্তমান সমাজে প্রথম সারির যোদ্ধা।
অথচ পান থেকে চুন খসলেই সেই ডাক্তারবাবুদের মারধর, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এমনকি গতকালই বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে এক ডাক্তারকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে ।
মুলত ডাক্তারবাবুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তরুন চিত্র পরিচালক অজিতাভ বরাট একটি বারো মিনিটের স্বল্প দৈর্ঘের ছবি তৈরি করেছেন।
চিত্র পরিচালক অজিতাভ বরাটের এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির নাম 'হ্যালো ডাক্তারবাবু'।
ছবি গল্পে দেখা যায়, ডাক্তার প্রবীর সান্যাল একদিন সকালে নিজের গাড়িতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার কাছে একটি ফোন আসে। তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। আবার সেই ফোন রাখতে না রাখতেই দ্বিতীয় ফোন। এবার হাসপাতাল থেকে। এক রোগীর মরণাপন্ন অবস্থা।
দ্রুত গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে ঢুকে সামান্য দেরিতে অপারেশন শুরু করলেন ডাক্তারবাবু। দেরির জন্য রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়রা তাঁকে অকথ্য ভাষায় অনেক কিছু বললেন। হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হল উত্তেজনা। এল পুলিশ।
তবে অবিচল ডাক্তারের হাত কাঁপল না। অপারেশন শেষ হল নির্বিঘ্নে। নতুন জীবন পেলেন রোগী।
পরে জানা গেল, প্রথম ফোনটি এসেছিল থানা থেকে। প্রবীর সান্যালের একমাত্র পুত্র সন্তান, যে নিজেই ডাক্তারি পাঠরত, মারা গিয়েছে পথ দুর্ঘটনায়। এই খবর পেয়েও নিজের কর্তব্যে অটল ছিলেন ডাক্তার প্রবীর সান্যাল।
ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের মোট 6 টি আন্তর্জাতিক চলচিত্র ফেস্টিভালে এই ছবি নির্বাচিত হয়েছে । মনোনীত হয়েছে বেশ কয়েকটি বিভাগে।