শীতে আপনার বয়সে রোজ কটা ডিম খাওয়া উচিত? জেনে নিন ডায়াটেশিয়ানদের পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রেকফাস্টে ডিম অথবা দুপুরে গরম ভাতে ডিম কষা, মধ্যবিত্তের খাদ্যাভাসে এই পদ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু, আপনার যা বয়স তাতে কি এ হেন খাদ্যাভাসকে জারি রাখা সঠিক হচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
রোজ ক'টি ডিম খাবেন! বয়স অনুযায়ী জেনে নিন,. !!
ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে। কিন্তু ডিম খাওয়া কতটা উপকারি, অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীরের উপর কী ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হন অনেকেই। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সপ্তাহে তিন দিন কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়াটেশিয়ানরা।
ডায়াটেশিয়ানের মতে ৫ থেকে ১০ বছরের শিশুদের দিনে একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ওজন কম থাকলে কুসুম সমেত ডিম খেতে হবে। আর ওজন বেশি হলে কুসুম ছাড়া শুধু ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাঁরা দিনে দু'টি করে ডিম খেতে পারেন। তবে দুটি ডিমেরই কুসুম খাওয়া সঠিক হবে না। একটি কুসুম সমেত একটি কুসুম ছাড়া।
১৫ থেকে ২০ বয়সিরা দিনে তিন থেকে চারটি ডিম খেতে পারেন। কিন্তু দিনে প্রোটিন সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার খেলে ডিম না খাওয়াই যথাযথ।
২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁরা দিনে দু' থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন। তবে ওজন বেশি থাকলে কুসুম না খাওয়াই উচিত।
৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে বয়স হলে দৈনিক দু'টির বেশি ডিম খাবেন না। কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়াই ভাল।
৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যাঁরা ডিম খান, তাঁদেরও কুসুম ছাড়া দিনে দু'টি ডিম খেতে বলা হচ্ছে।
৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁদের কুসুম ছাড়া দৈনিক একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়াটেশিয়ানরা।