হাজার বছরের পুরনো শৈব তীর্থ? জানুন ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মন্দিরের বিশেষ রহস্য-কথা...
উত্তরবঙ্গের প্রাচীন শৈব তীর্থ এই জল্পেশ। সেখানকার শ্রাবণী মেলাও ঐতিহ্যপূর্ণ। চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলা চালু করা যায়নি। তবে ভক্তদের জন্য খোলা ছিল মন্দির।
এই মেলাকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে জেলা প্রসাশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ। মন্দির ট্রাস্টি বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবছর নিরাপত্তার জন্য মন্দিরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে সংস্কার করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের নিজস্ব শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন। মন্দিরের চারিদিকে পুলিসি নিরাপত্তা-সহ রয়েছে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরাও। মন্দির চত্বরে মোতায়েন থাকবে মেডিকেল টিমও।
মন্দিরে প্রবেশের টিকিটমূল্যের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি না বলে জানা গিয়েছে। স্পেশাল টিকিট ১০০ টাকার। পাশাপাশি ২০ টাকা মূল্যের টিকিটও থাকবে।
এবার শ্রাবণ মাস মল মাস বলে বিবেচিত। যার ফলে গুজব রটেছে, এবারের শ্রাবণে জল্পেশ মন্দিরে জল ঢালা যাবে না। অনেকেই বলছেন বন্ধ থাকবে মন্দির। এই প্রচার যে গুজব, তা স্পষ্ট করেছেন জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিতেরা। তাঁদের কথায়, শ্রাবণ মাস মল মাস থাকলেও মন্দির খোলা থাকবে। মল মাসে মূলত বাড়ির বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠান বিশেষ করে বিবাহ-অন্নপ্রাশন ইত্যাদির আয়োজন করা যায় না। তবে জল্পেশ মন্দিরে এজন্য কোনও সমস্যা হবে না। মল মাস থাকলেও মন্দির যথারীতি খোলা থাকবে, ভক্তরাও আসবেন, পুজোও দিতে পারবেন।
ইতিমধ্যেই জল্পেশের শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে মন্দিরে যাওয়ার জন্য পোশাক-সহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে ভিড় জমতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন দোকানে।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী এবং সর্ব বৃহৎ শৈব তীর্থ এই জল্পেশ মন্দির। মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে বছরে তিনটি বৃহৎ মেলা বসে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্রাবণ মাসের এই শ্রাবণী মেলা। এই মেলায় রেকর্ড ভিড় হয়। এ রাজ্যের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও বহু ভক্ত আসেন পুজো দিতে। শোনা যায়, একদা এখানকার এই মেলায় হাতিও বিক্রি হত!