অনেক চেষ্টা করেও রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়? সতর্ক না হলে সমস্যাগুলি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য!
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে উঠেছে ঘুম না আসা। এই সমস্যার সমাধান পেতে বিশেষজ্ঞরা কিছু টিপস দিয়েছেন, দেখে নিন সেগুলি কী কী?
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিকোটিন বা চা, কফি জাতীয় কিছু পান করার কারণে। সারাদিন পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজেকে রিল্যাক্স করার জন্য চা কফি, নিকোটিন নেবেন না ।
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়গুলির মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায়। রাতে ঘুমানোর সময় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস ঘরে প্রবেশ না করে তবে সেই ঘর ঘুমানোর পক্ষে উপযুক্ত নয়। স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমানোর সময় যদি ঘর গরম থাকে বিশেষত বালিশ এবং বিছানাও গরম থাকে তাই ঘুমানোর জন্য ঠান্ডা ঘর বাছাই করুন মত বিশেষজ্ঞদের।
ঘুমানোর আগে হালকা গরম জলে স্নান করে নিলে ভাল ঘুম হয়, ঠান্ডা জল দিয়ে গা ধুলে শরীর ঠান্ডা হয় কিন্তু সেটি ক্ষণস্থায়ী কিন্তু হালকা গরম জলে গা ধুয়ে ফেললে শরীরের ঠান্ডা ভাবটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
সারাদিনে ১৫মিনিট হালকা Exercise করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা, দিনের শুরুতে হালকা এক্সারসাইজ যেমন একটি মানুষকে চনমনে ও এনার্জেটিক করে তোলে তেমনি রাতে ঘুমানোর সময় ঘুম আনতেও সাহায্য করে। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়গুলির মধ্যে এটি একটি অনবদ্য উপায়, দিনের শুরুতে ১৫মিনিট এক্সারসাইজও গভীর একটি ঘুম আনতে সাহায্য করে। চেষ্টা করবেন দুপুরের ঘুমটা এড়িয়ে যাওয়ার। কখনই দুপুর ৩টের পর ঘুমাবেন না। কারণ দুপুর ৩টের পরের ঘুম রাতের ঘুমের জন্য ক্ষতিকারক।
সারাদিনে অনন্ত ৩০মিনিট সূর্যের আলোয় থাকা দরকার, তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়গুলির মধ্যে এটি ভীষণ কার্যকরী উপায়। কারণ আপনার ব্রেনকে দিন ও রাতের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। যার ফলে রাত হলেই ঘুম নিজেথেকেই আসবে।
ঘুম আসতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার খেতে পারেন, যেমন Oats এবংগরম দুধ। ওটস ওজন কমাতে এবং অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে, তেমনি Oats খেলে ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে। সারাদিনে এক বাটি ওটস আমাদের শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর বলে মতামত বিশষজ্ঞদের।