‘সুন্দরী মহিলা বেশি হলেই, ধর্ষণ বাড়বে’
সর্বদাই ‘মধুর বাণী’ বর্ষণ হচ্ছে তাঁর মুখ দিয়ে। এ বারও আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করে তুমুল বিপাকে পড়লেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে। বৃহস্পতিবার এক জনসভায় নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করে সমালোচিত হন তিনি।
নিজের শহর দাভাও-তে ধর্ষণের পরিসংখ্যান বিষয়ে পুলিসের একটি রিপোর্ট নিয়ে বলতে গিয়ে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, “তারা (পুলিস) জানিয়েছে দাভাও-তে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু যত দিন সুন্দরী মহিলা বেশি থাকবে, তত দিন পযর্ন্ত অব্যাহত থাকবে ধর্ষণ।”
এই কথা বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। তাঁর অকাট্য যুক্তি, “প্রথম অনুরোধেই কেউ সম্পর্কে আসেন না। মহিলারা অন্তত তো নই। প্রথম আবেদনে কেউ যদি সাড়া না দেয়, তা হলে ধর্ষণ করতে হয়।”
প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেন ফিলিপিন্সের একাধিক মহিলা সংগঠন। তাঁদের মতে, “প্রেসিডেন্টের এমন অশ্লীল কথায় আমল না দেওয়াই ভাল।” এমনকি ধর্ষণ নিয়ে রসিকতা করাকে নিন্দা করেন তাঁরা।
ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য প্রথম নয়। এর আগে বহুবার অশ্লীল এবং নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে ফিলিপিন্সের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাদের নির্দেশ দেন, তিন মহিলাকে ধর্ষণ করলে, শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসাবে গন্য হবে না।
কখনও মহিলাদের যৌনাঙ্গে গুলি করার নির্দেশ দেন তিনি। ১৯৮৯ সালে দাভাও জেলে জ্যাকলিন হ্যামিল নামে এক অস্ট্রেলিয় মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়।
সে সময় দাভাও-র মেয়র ছিলেন বর্তমান ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্ট। সে সময় এই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, “ওই মহিলা ধর্ষিত হয়েছেন, সে বিষয়ে ক্রুদ্ধ হয়েছি আমি। তবে, তিনি সুন্দরী ছিলেন। মেয়রের প্রথম প্রাপ্য ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”
আন্তর্জাতিক নেতাদেরও একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি। ২০১৬ সালে ওবামার এক পরমার্শে রডরিগো তাঁকে ব্যক্তি আক্রমণ করে। জঘন্য ভাষায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গালিগালাজ করেন তিনি।