Social Media Day: বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো/সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও
সাংবাদিকতাতেও এসেছে বিপ্লব। সোশ্যাল মিডিয়া সাংবাদিকতাকে গভীরভাবে পুষ্ট করল। নিমেষের মধ্যে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের খবর চলে আসছে নখাগ্রে। ছবি তথ্য পেতে ঘুচেছে সঙ্কট।
অন্তর্জাল হাতের মুঠোয় দুনিয়াকে এনে দিয়েছিল। গুগল-এর কোনও বিকল্প নেই। অমিত তথ্যভাণ্ডার। একটি ক্লিকেই জেনে নেওয়া যায় আলতামিরা থেকে আলপিন পর্যন্ত বিচিত্র জিনিস। কিন্তু তবুও কোথাও যেন একটা খামতি ছিল। দুনিয়া যেন হাতের মুঠোয় এসেও মুঠো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াই আক্ষরিক অর্থে দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিল। ইন্টারনেটে-দুনিয়াতেই ঘটল প্যারাডাইম শিফ্ট।
দেখতে-দেখতে সেই সোশ্যাল মিডিয়া আজ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখন পালন হয় তার নামাঙ্কিত বিশেষ দিনও। যেমন, World Social Media day। এ দিনটি আজকের দিনে, মানে ৩০ জুনই প্রথম পালিত হয়েছিল। সময়টা ছিল ২০১০ সাল।
দেখতে গেলে একযুগ হয়ে গেল। এখন সমাজের একটা বড় অংশের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া জীবন কল্পনার অতীত। ২০১০-এর পর থেকে প্রতি বছরই নিয়ম করে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়া কী ভাবে ইদানীং আমাদের সমাজে ক্রমশ এক key tool for communication হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা মনে করার ও পাশাপাশি উদযাপনেরই দিন এটি।
সোশ্যাল মিডিয়া যেন একটা গেম চেঞ্জার। সে আমূল বদলে দিল আমাদের যাপন-চিন্তন-মনন। প্রভাব ফেলল আমাদের কাজের ধরনেও। যোগাযোগ সহজ করে কাজ আরও সহজ করে তুলল।
এখন সত্যিই যেন বিশ্ব হাতের মুঠোয়। একটা ক্লিকেই ওকলাহামার সঙ্গে ওড়িশার বন্ধন গড়ে ওঠে! কত দিনের হারানো বন্ধুকে মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম থেকে খুঁজে পান। আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়ে। বন্ধুত্বের সংজ্ঞা বদলে গিয়ে নতুন ডায়মেনশন পায় নতুন দিনের মেলামেশা।
প্রথম social media platform ছিল Sixdegrees। যেটি Andrew Weinreich-এর উদ্যোগে ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছিল। তখনই এর ব্যবহারকারীরা এর সাইটে নিজেদের আত্মীয়-বন্ধুর তালিকা সংরক্ষণ করতে পারতেন।
এর পরের পর্যায়ে প্রথম দিকে ক্রমশ আসে Friendster, MySpace এবং Facebook। আর পরের দিকে আসে Twitter, Instagram, LinkedIn, Snapchat-এর মতো প্ল্যাটফর্ম।
এমন একটি দিন নিছক উদযাপনেরই নয়। এর তাত্পর্যও আছে। আমাদের দৈনন্দিনে Social Media কতটা প্রভাবশালী বা শক্তিশালী তার একটা মূল্যায়ন এদিন করা হয়। Messaging Service App-এর কল্যাণে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর গতিও অনেক মসৃণ। বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতেও দারুণ পটবদল ঘটিয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। এখন সামগ্রিক ভাবেই পরস্পরকে বোঝার পরিসরটা অনেক বিস্তৃত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপব্যবহার থেকে বিরত হয়ে এর সুষ্ঠু ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়াও এদিনের উপজীব্য।