গরুর দুধ, গোমূত্র খাই তাই ভাল থাকি, গাধারা গরুর কথা বুঝবে না: দিলীপ ঘোষ
'স্বর্ণনাড়ি তত্ত্বের' পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিগুণ ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গোরুর দুধে সোনা নিয়ে মিম, ছড়া, গানে ছেয়ে গিয়েছিল গোয়াল থেকে ওয়াল। তবে, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকারীদের তিনি বরাবরই তোয়াক্কা করেন না। তাই তাঁর গোভক্তিকে নিয়ে মজা করা ব্যক্তিদের 'গাধা' বললেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, গোমূত্র পানের উপকারিতা আরও একবার তুলে ধরেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে মর্নিংওয়াকে বের হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই সময়েই দলীয় কর্মীদের বলেন, "আমি গরুর কথা বললে অনেকের শরীর খারাপ হয়ে যায়।" তাঁর গোভক্তির সমলোচকদের উদ্দেশ্যেই এমনটা বলেন তা বলাই বাহুল্য। "আমরা গরুর দুধ, গোমূত্র খাই তাই ভাল থাকি," দাবি করেন দিলীপ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা গরুকে মা বলি। তার সেবা করি। গাধারা এসব বুঝবে না।"
যেখানেই থাকুন না কেন, সকালে একটু কসরত করার চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ। কলকাতায় থাকলে নিউটাউনে চলে আসেন। কখনও চলে যোগব্যায়াম, কখনও মাউন্টেন বাইকে চক্কর। এদিন দুর্গাপুরেও তাই সকাল সকাল হাঁটতে বের হন দিলীপ। যোগ দেন বিজেপি কর্মীরাও। প্রাতঃভ্রমণ শেষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন স্থানীয় দলীয় কর্মীরা।
সেই সময়েই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মহিলা কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ বলেন, "গোলমরিচ, তুলসী পাতা, মধু- সব দিয়ে ভাল করে নাড়া বানান। জলে গুলে ভাল করে ফুটিয়ে সবাইকে খাওয়ান। কোনও রোগ ধরবে না। আয়ুর্বেদ ছাড়া একে রোখা যাবে না। বাড়ির কেউ খেতে না চাইলে তাকে দুপুরের ভাত দেবেন না।"
শুধু নিজের বা দলীয় কর্মী নন, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়েও সচেতন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, "আমি মর্নিং ওয়াকে বেরোলে সাংবাদিকরাও থাকেন। আমি তাঁদের কাঁচা হলুদ, কাঁচা আদা দিই। অনেকে খেতে চান না। পালিয়ে যান। তাঁকে বলি, না খেলে বাইট দেব না। শেষে খেয়ে নেন। এই ভাবেই খাওয়াতে হবে। রোগ রুখতে এ ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।”
গোমূত্র পানের উপকারিতা এদিন আরও একবার তুলে ধরেন দিলীপ। তিনি বলেন, "দিদিমণির ভাইয়েরা বলছে এসব চলবে না। আমরা বলছি এসবই চলবে। তোমরা বোতলের মদ খাও, আমরা গোমূত্র খেয়ে ভাল থাকব।"
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন সরব হন তিনি। দিলীপ বলেন, “তিন মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করে গিয়েছেন বলেই আজকে রাজ্যের এই অবস্থা। সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় ব্যবস্থা নেবেন তা না উল্টে তিনি নিজেই উদ্বিগ্ন।”