সৌরভের জার্সি ঘোরানো থেকে ধোনির বিশ্বকাপ ছয়, রইল ভারতীয় ক্রিকেটের কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে ২৫ জুন রেড লেটার ডে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল কপিল দেবের ভারত। ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসের ব্যালকনিতে কাপ হাতে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক কপিল। এই ছবি দেখলে আজও ভারতীয়দের গর্বে বুক ভরে যায়।
ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিল ভারত। ঐতিহাসিক লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই জার্সি খুলে ঘোরানোর মুহূর্তটা যেন আজও বাঙালিদের নতুন করে বাঁচার মন্ত্র দেয়। ভারতীয় ক্রিকেটের মানচিত্র বদলেরও শুরু ওখান থেকে।
২০০৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছ'টা ছক্কা মেরেছিলেন যুবরাজ সিং। মাত্র ১২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে বিশ্ব রেকর্ডও করেছিলেন ধোনির দলের অন্যতম সেরা যোদ্ধা।
সচিন-সৌরভ-রাহুলদের ছাড়াই ইতিহাস লিখেছিল ধোনির ভারত। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে ধোনি অ্যান্ড কোং। ওই টুর্নামেন্টের পরেই অধিনায়ক ধোনির স্বপ্নের দৌড় শুরু হয়েছিল। ভারত পেয়ে গিয়েছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ককে।
টি-২০ বিশ্বকাপের জয়ের ঠিক চার বছর পর ২০১১ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। ধোনির নেতৃত্বে ভারত দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছিল ২৮ বছর পর। ক্যাপ্টেন ধোনির ছয় মেরে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর এই মুহূর্তটা আজীবন ভারতীয়দের মনে ভাস্বর হয়ে থাকবে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর 'ক্রিকেট ঈশ্বর' সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপিয়ে সতীর্থরা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ঘুরিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি সচিন জানান যে, প্রথমে ভয় পেলেও পরে কোহলি-পাঠানদের জোরাজুরিতে তিনি কাঁধে উঠেই পড়েন। এও জানান সেই অভিজ্ঞতা তাঁর বেশ ভালই লেগেছিল।
২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদেরই মাটিতে তাদের হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলে ধোনির ভারত। আইসিসি-র তৃতীয় ট্রফি জিতে বিশ্বরেকর্ড করেন মাহি। শীতল মস্তিষ্কে মহাশত্রু ইংল্যান্ড বধের এই দৃশ্য আজও বুঝিয়ে দেয় অধিনায়ক ধোনির ক্যারিশ্মা।
ভারতীয় ক্রিকেটে রয়েছে একাধিক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। যা ফ্যানেরা কখনই ভুলবেন না। সেরকমই বাছাই করা কিছু মুহূর্ত নিয়ে এই প্রতিবেদন। অস্থির সময়ে এই ছবিগুলো নিঃসন্দেহে আরও একবার মন ভালো করে দেবে।