Rabindranath Tagore`s Death Anniversary: `এই দৃশ্য সহ্য করতে পারতাম না, হয়তো আত্মহত্যা করতাম`! বাংলাদেশে রবিমূর্তি ভাঙা নিয়ে বললেন...
বিএসএনএল-এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সোমনাথ ভদ্র। রবিঠাকুর হিসেবে ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন। আজ, বাইশে শ্রাবণ নিমতলা মহাশ্মশানে কবিগুরুর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন কবিকে। (তথ্য ও ছবি: অয়ন ঘোষাল)
সেখানে ভগ্নহৃদয়ে তিনি বাংলাদেশের কাণ্ড নিয়ে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। (তথ্য ও ছবি: অয়ন ঘোষাল)
সোমনাথ জানান, বাংলাদেশে রবি ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে ফেলার ঘটনায় তিনি মর্মাহত। (তথ্য ও ছবি: অয়ন ঘোষাল)
সোমনাথ আরও জানান, সেখানে থাকলে এই দৃশ্য তিনি হয়তো সহ্য করতে পারতেন না। হয়তো আত্মহত্যা করতেন। কোনো কারণেই রবি ঠাকুরের মূর্তি ভাঙা যায় না! (তথ্য: অয়ন ঘোষাল)
এদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথকে। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন-- 'বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আমাদের প্রাণের ঠাকুরকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম। বছরের প্রতিটা দিনে, প্রতিটি মূহূর্তে তিনি আমাদের ঘিরে রয়েছেন। ওঁর আদর্শই আমাদের পাথেয়। তিনিই আমাদের দিক্নির্দেশক।'
মেয়র ফিরহাদ হাকিমও শ্রদ্ধা জানান রবীন্দ্রনাথকে। তিনি বলেন, 'আমাদের আবেগ আমাদের জীবন আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু, সবটাই রবীন্দ্রনাথ। বাঙালি হিসেবে আমাদের যে গর্ব, তার অনেকটা কারণ রবীন্দ্রনাথ। তাই তাঁকে চোখে না দেখলেও তাঁকে জড়িয়েই আমাদের জীবন। তাই আমরা সবাই ভাবি, এই দিনটা আমাদের জন্মের আগে কেন এল? কেন আমরা তাঁকে দেখতে পেলাম না। কিন্তু তাঁকে অবলম্বন করেই আমাদের জীবন।' এরপর বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা নিয়েও তিনি তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন। বলেন, 'কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়। কিন্তু এইভাবে রবীন্দ্রনাথকে কি মুছে ফেলা যায়? রবীন্দ্রনাথকে কি সরিয়ে ফেলা যায়? বিশ্বকবি বিশ্বমানবের হৃদয়ে থাকেন। বাঙালির হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ রাজ করেন। আমি অত্যন্ত ব্যথিত।'