শুরু জল্পেশ মন্দিরের শ্রাবণী মেলা, মন্দির সম্পর্কে এই কথাগুলি জানেন?
এ হল জল্পেশ শিব মন্দির। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থেকে আরও ৭-৮ কিলোমিটার দূরে নদীর ধারে এই জল্পেশ মন্দির। ভ্রামরী শক্তিপীঠের ভৈরব হলেন জল্পেশ। মন্দিরটির স্থাপত্যশৈলী অসাধারণ।
জানা যায়, বিশ্ব সিংহ ১৫২৪ সালে জল্পেশ মন্দির প্রতিষ্ঠাতা করেন। বিশ্ব সিংহ কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণের পিতা। এর ১০০ বছরেরও বেশি পরে রাজা প্রাণনারায়ণ ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। মন্দিরটি বৈকুণ্ঠপুরের রায়তদের তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৮৯৯ সালে রানি জগদেশ্বরী দেবী এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এ হেন ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দিরে শুরু হয়েছে শ্রাবণী মেলা। করোনা-পরবর্তী এই মেলা অন্যরকম উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক জানিয়েছেন, গত দু'বছরে করোনার কারণে মন্দিরে মেলা বন্ধ ছিল। এ বছরে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। মন্দির এবং মেলা চত্বর 'নো প্লাসটিক জোন' করা হয়েছে। পুজো দিতে মন্দিরে যেন ১০০ জনের বেশি একসঙ্গে না ঢোকেন সেদিকেও নজর রাখা হবে বলে জানান তিনি।
ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মাথাভাঙা, অসম, নেপাল ও ভুটান থেকে।
যদিও বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও এবছর মেলায় রেকর্ড ভিড় হবে বলে মনে করছে মন্দির কমিটি। অন্তত তেমনই জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব। ফলে, দোকানদারেরাও লাভের আশায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
ভক্তদের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখছে জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসন। বহু পুলিস মোতায়ন করা হয়েছে মন্দির ও মেলা প্রাঙ্গণে। মন্দির কমিটির তরফে প্রায় ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। রয়েছেন একশোরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক।