`তিতলি`র মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ কেন্দ্র-রাজ্যের
উত্সবের মরসুমে ভারতের উপকূলে 'তিতলি'র আক্রমণের মোকাবিলায় আঁটঘাঁট বেঁধে নিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এদিনই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রিসভার সচিব পিকে সিনহা।
ভারতের আবহাওয়া দফতর 'তিতলি'কে খুব তীব্র সাইক্লোন আখ্যা দিয়েছে। ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়বে 'তিতলি'।
স্থলভাগে আসার সময় ঝড়ের গতি থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় এদিন বৈঠকে বসেন মন্ত্রিসভার সচিব পিকে সিনহা।
বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যকে পরিমিত খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে স্কুল-কলেজ।
এর পাশাপাশি মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৪টি দল ওডিশায়, ৪টি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ৩টি দল পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়াও তিনটি রাজ্যে নিজস্ব বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
সেনা, বায়ুসেনা ও উপকূল বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। দরকারে নেমে পড়বেন জওয়ানরা।
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, সেখবর আগেই পেয়ে গিয়েছে এরাজ্য। কিন্তু, পুজোর মুখে এই দুর্যোগ! কতটা ভোগাবে? এই দুশ্চিন্তায় কার্যত ঘুম ছুটেছিল আম বাঙালির। হাওয়া অফিস কিছুটা আশ্বস্ত করেছে। তিতলির ডানা ঝাপটানোয় ভুগতে হবে শনিবার পর্যন্ত।
রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হলে তো চিন্তা নেই। কারণ, ষষ্ঠী সোমবার। বৃষ্টির ভ্রকূটি ছাড়াই বাঙালির প্যান্ডেলভ্রমণ নির্বিঘ্নে চলবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রীও। ষষ্ঠীর সকাল থেকে আকাশ ঝলমলে হয়ে যাবেই বলে আশা হাওয়া অফিসের।
তিতলির মোকাবিলায় তৈরি নবান্ন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বুধবার থেকেই কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।দিঘায় উত্তাল সমুদ্র। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
তিতলির দাপটে কি তাহলে পণ্ড হবে ট্রেন সফর? পুজোর মুখে এমনই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল অনেকের মনেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেল অবশ্য বলছে, খুব একটা সমস্যা হবে না। খুরদা রোড ও বিজয়নগরমের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন ঘুরপথে চলবে। খড়্গপুর থেকে ঘুরপথে বিজয়ওয়াড়া অবধি চলবে। হামসফর, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, প্রশান্তি নিলয়ম, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ঘুরপথে যাবে। বুধবারের চেন্নাই মেল বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় ছাড়বে। বুধবারের গুরুদেব এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পনেরোয় ছাড়বে। পুরীগামী সব ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে এবং রুটে চলবে।