Jagannath Puri Rath Yatra 2024: পুরীর জগন্নাথমন্দির যেন এক অলৌকিকক্ষেত্র! আশ্চর্য সব ঘটনা, বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না...
জগন্নাথ মন্দিরের শীর্ষে যে পতাকা ওড়ে তা সব সময় হাওয়ার উল্টোদিকে ওড়ে। বহু পুরনো প্রথা মেনে প্রতিদিন মন্দিরের এক সেবায়েত কোনও সুরক্ষা কবচ ছাড়াই ৪৫ তলা উঁচু বাড়ির সমান এই মন্দিরের চূড়ায় উঠে এই পতাকা পরিবর্তন করে দেন। বলা হয়, একদিনের জন্যও এই প্রথা না মানা গেলে, ১৮ বছর মন্দির বন্ধ রাখতে হবে।
দিনের যে সময়ই হোক না কেন, সূর্য আকাশে যেখানেই থাকুন না কেন, জগন্নাথ মন্দিরের ছায়া কখনও মাটিতে পড়ে না! কোন প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ার ফলে সুউচ্চ এই মন্দিরের ছায়া মাটিতে পড়ে না, তা আজও বিস্ময়। কোনও জটিল ত্রিকোণমিতি হয়তো রয়েছে। কিন্তু আজও এই রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়নি!
জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিগুলি কাঠের তৈরি। প্রতি ৮, ১২ বা ১৯ বছর পর-পর এই মূর্তি পালটে ফেলা হয়। একে বলে নবকলেবর। শুভ লক্ষণ দেখে কোনও পূর্ণবয়স্ক নিম গাছ বেছে নিয়ে সেটিকে মূর্তি নির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা হয়। এবং তা থেকে কাঠ কেটে মূর্তি তৈরি করা হয়। গোপনীয়তা রক্ষা করে ২১ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করে ফেলতে হয়।
জগন্নাথদেবের ভোগ প্রস্তুত প্রণালী আশ্চর্যজনক। সাতটি মাটির পাত্রকে একটির উপর আর একটি চাপিয়ে রান্না করা হয়। আগুন দেওয়া হয় একদম নীচে। কিন্তু সবার উপর যে পাত্র থাকে, তার অন্ন সবার আগে সেদ্ধ হয়ে যায়। এভাবে পর পর হতে থাকে। কী ভাবে এটি সম্ভব, সেই রহস্যের কিনারাও আজও হয়নি!
বলা হয় পুরীর মন্দিরের উপর কখনও কোনও পাখি ওড়ে না। পুরীর মন্দিরের উপরের আকাশ-পথে এমনকি যায় না কোনও উড়োজাহাজও! কেন? কে বলবে? কেউ জানে না!
দেশের সবথেকে প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির। এটি বিষ্ণুর চার ধামের অন্যতম। চার ধামের অন্য তিন ধাম হল বদ্রীনাথ, দ্বারকা ও রামেশ্বরম। বিশ্বাস, কলিযুগে এই পুরীতেই অবস্থান করেন শ্রীকৃষ্ণ। অগ্রজ বলরাম ও সহদোরা সুভদ্রার সঙ্গে এখানে পূজিত হন জগন্নাথরূপী নারায়ণ।