Jalpaiguri: গরম কোথায়! ভরা বৈশাখে সোয়েটার পরে স্কুলে এল পড়ুয়ারা
)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার থেকে গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। শেষদিনে সোয়েটার পরে স্কুলে এল পড়ুয়ারা! এমনই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহরে।
)
ঝড়-বৃষ্টিতে আপাতত কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। এপ্রিলেই তাপমাত্রার পারদ চলে গিয়েছিল ৪০-র উপরে! গত কয়েক দিন ধরে গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে পড়ুছিল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি ছিল পঞ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে।
)
এতটাই গরম পড়েছিল যে, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে স্কুলের সময়সীমা ১ ঘণ্টা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ২ মে অর্থাৎ সোমবার থেকে স্কুলে স্কুলের গরমে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের জন্য উত্তরবঙ্গের স্কুল বন্ধ কেন? শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শিলিগুড়ি BJP বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। তাঁর মতে, 'সাধারণভাবে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের যেকোন জায়গায় থেকে অনেকটাই অনুকূল অন্তত এই সময়কালেও স্কুলে পড়াশোনার করার জন্য। সরকারকে যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মর্নিং স্কুল করতে পারে'।
তা বলে ভরা বৈশাখে সোয়েটার! কেন? এদিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়িতে। সঙ্গে হিমেল হাওয়া। বাতাসে শীত-শীত ভাব থাকায় স্কুলে সোয়েটার পরে আসে অনেক পড়ুয়াই।
উত্তরবঙ্গে সেভাবে গরমে না পড়ায় এখনই স্কুলছুটি পক্ষপাতি নন অভিভাবকরা। বরং জেলাভিত্তিক আবহাওয়া বিচার করেই ছুটির দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।