মদ নিসিদ্ধ হওয়ার পর বিহারে কিসের বিক্রি বেড়েছে জানেন?
২০১৬-র এপ্রিল নাগাদ যখন বিহারে মদ নিসিদ্ধ করা হল, তখন রাজ্যের মদ্যপায়ীর সংখ্যা অন্তত ৪৪ লক্ষ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এডিআরআই) এবং ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (ডিএমআই)-এর যুগ্ম সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য।
নাওয়াদা, পূর্ণিয়া, সমস্তিপুর, পশ্চিম চম্পারণ, কৈমুরের মোট ২৩৬৮টি পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে মদ নিসিদ্ধ করার আগে এই পরিবারগুলিতে গড়ে মাসকাবারি খরচ ছিল ১০০৫ টাকা যা বর্তমানে বেড়ে ১৩৩১ টাকা হয়েছে। অর্থাত্, মাসকাবারি খরচের খাতে ব্যায় বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মদ নিসিদ্ধ হওয়ার পর বিহারে দুধের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ, ফ্লেভার্ড দুধের বিক্রি বেড়েছে ২৮.৪ শতাংশ এবং লস্যির বিক্রি বেড়েছে ১৯.৭ শতাংশ।
এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬-র এপ্রিলের পরে বিহারে মধুর বিক্রি বেড়েছে ৩৮০ শতাংশ এবং চিজ-এর বিক্রি ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এডিআরআই-এর সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিহারে মদ নিসিদ্ধ করার পর দামি শাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৭৫১ শতাংশ, অন্যান্য দামি জামা-কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে ৯১০ শতাংশ।
এডিআরআই এবং ডিএমআই-এর সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিহারে মদ নিসিদ্ধ করার পর অনেকটাই কমেছে অপরাধমূলক কার্যকলাপ। যেমন, মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা কমেছে ৬৬.৬ শতাংশ। খুনের ঘটনা কমেছে ২৮.৩ শতাংশ এবং ডাকাতির ঘটনা ২.৩ শতাংশ কমেছে।
বিহারের ২৩৬৮টি পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, রাজ্যসরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি মহিলারা। কারণ, তাঁদের মতে রাজ্যে মদ নিসিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাঁদের মতামতের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কমেছে পারিবারিক অশান্তি।