সাইকেল গার্ল জ্যোতি কুমারীর পাশে সুপার থার্টি—র আনন্দ কুমার, দিলেন বড় প্রতিশ্রুতি
তিনি কয়লা খনি থেকে হিরে খুঁজে বের করতে পারেন। এর আগে আরও ত্রিশটি হিরে তিনি খুঁজেছেন। সুপার থার্টি—র প্রতিষ্ঠাতা জানেন, কখনও কখনও গোবরেও পদ্মফুল ফোটে। সেই ফুলের পরিচর্যা করলে তা বিশ্ববিখ্যাত হয়। আর তাই এবার আনন্দ কুমার পৌঁছে গেলেন বিহারের জ্যোতি কুমারীর বাড়ি।
জ্যোতি কুমারীকে এখন কে না চেনে! ১২০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙায় নিজের গ্রামে পৌঁছেছে সে। সাইকেলের পিছনে আবার বাবা মোহন পাসওয়ানকে বসিয়ে সাতদিন ধরে সাইকেল চালিয়েছে ১৫ বছরের জ্যোতি।
আনন্দ কুমার এদিন জানিয়েছেন, জ্যোতি ভবিষ্যতে আইআইটি—র জন্য প্রস্তুতি নিতে চাইলে তাঁর কোচিং সেন্টারের দরজা খোলা। আর এই কথা জ্যোতির বাড়ি গিয়ে জানিয়ে এসেছেন আনন্দ কুমারের ভাই প্রণব।
আনন্দ কুমার এদিন টুইট করে জ্যোতিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা জানান। এর আগেও ত্রিশজন রত্নকে আইআইটি—র জন্য প্রস্তুত করেছেন আনন্দ। তারা প্রত্যেকেই দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র—ছাত্রী। আনন্দের জীবনের এই লড়াই নিয়ে সিনেমাও হয়েছে।
এর আগে জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সাইকেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। জ্যোতিকে ট্রায়ালে ডাকা হয়েছে। ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লিতে এসে ট্রায়াল দিতে জ্যােতির যাবতীয় খরচ বহন করবে তারাই।