`বিষয়টি গুরুতর`, অভিষেকের স্ত্রীর বিমানবন্দর পর্বে রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা বিমান বন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলার লাগেজ পরীক্ষার ঘটনায় অস্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই ঘটনায় শুক্রবার রাজ্য সরকারের কাছে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
রুজিরা নারুলার ব্যাগ পরীক্ষার সময় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয়টি নিয়ে বিহিত চাইতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক।
ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি আমাদের নজরে আনা হয়েছি। এটা খুবই গুরুতর। যদিও আইনজীবী এএম সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, জনস্বার্থ মামলায় নোটিস দেওয়ার দরকার নেই।
শুল্ক দফতরের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটক জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে তিনি জানান, ১৫-১৬ মার্চের দিন শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে।
বিপক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, জনস্বার্থ মামলাকারী রাজকুমার বার্থওয়াল কেন্দ্রীয় অপ্রত্যক্ষ কর ও শুল্ক বিভাগের সদস্য। মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে তা এড়িয়ে যেতে পারি না। দরকার পড়লে বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করবে আদালত। এরপরই রাজ্য সরকারের কাছে নোটিস দিয়ে বিষয়টি জানতে চেয়েছে আদালত।
গত ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, কলকাতা বিমান বন্দরে রুজিরাকে বাঁচাতে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করেছিল স্থানীয় পুলিস। পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র। ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা।
তুষার মেহতা আদালতে জানান, ১৫-১৬ মার্চ রাত ১.১০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে দুই মহিলাকে আটকেছিলেন শুল্ক আধিকারিকরা। তাঁরা আন্তর্জাতিক উড়ান ধরে কলকাতায় অবতরণ করেছিলেন। তাঁদের ব্যাগ পরীক্ষা করতে চান শুল্ক আধিকারিকরা। কিন্তু ওই আধিকারিকদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপরই বিমান বন্দরের মধ্যে ঢুকে পড়ে পুলিস। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের গ্রেফতারির চেষ্টাও হয়। শুল্ক দফতরের এফআইআরও নেয়নি পুলিস।
গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁর ভাবমূর্তিতে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে।