রাজীব কুমার মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব, জেনে নিন ১০ টা পয়েন্ট
রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। মঙ্গলবার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি। নিরপেক্ষ স্থান হিসাবে শিলং, মেঘালয়ের সিবিআই দফতরে রাজীব কুমারকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে, আদালত অবমাননার অভিযোগে ডিজি, সিপি ও মুখ্যসচিবকে ১৮ ফেব্রুয়ারি হলফনামা দিয়ে কারণ জানানোর নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। প্রথম থেকেই সওয়াল জবাব পর্ব ছিল উত্তেজনাময়। সিবিআই এদিন মুখ বন্ধ খামে একটি হলফনামা জমা দেয়।
সিবিআই অভিযোগ করে, সিটের প্রধান হয়েও প্রভাবশালীদের আড়াল করেছেন রাজীব কুমার। সিবিআইয়ের তরফে এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল করা হয়, “সারদা মামলায় অসম্পূর্ণ ও বিকৃত তথ্য দিয়েছে সিট। ”
সিবিআই-এর আইনজীবী অভিযোগ, “সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ সিটের হাতে ছিল। সুদীপ্ত সেনের মোবাইলও সিটের হাতে ছিল।” সেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফরেনসিকে পাঠানো হয়নি কেন, তা এদিন শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর আরও অভিযোগ, “সিবিআইকে যে কল ডেটা দেওয়া হয়েছিল, তাও বিকৃত করা হয়েছে।”
শীর্ষ আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী সওয়াল করেন, “সারদা সংক্রান্ত যথার্থ তথ্য আমাদের হাতে দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়ে আমরা সন্ধিহান।”
সিবিআই-এর তরফে এদিন তিন বিচারপতির বেঞ্চে অভিযোগ করা হয়, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বাধা দেওয়ার এক্তিয়ার কি আদৌ রয়েছে পুলিসের?”
এদিন শুনানি শেষে রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গত ৫ বছরে কোনও এফআইআর করা হয়নি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তথ্য লোপাটের অভিযোগেও কোনও এফআইআর হয়নি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। তাঁর পদকে অবমাননা করা হয়েছে।”
এদিন সুপ্রিম নির্দেশকে ‘নৈতিক জয়’ বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলোচনা চেয়ে সিবিআইকে ৫ টা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আলোচনা করেনি। এটা আমাদের নৈতিক জয়।”