CBI এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বড় তথ্য সামনে আনলেন সুশান্তের ময়নাতদন্তকারী ডাক্তাররা
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যেখানে গলায় ফাঁস লেগে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে সুশান্তের ঘাড়ে কিংবা মস্তিস্কে কোনও আঘাত চিহ্ন নেই, ঘাড়, গলা, মাথার কোনও হাড় ভেঙে যায়নি।
সুশান্তের ঘাড়ে 'লিগেচার মার্ক' স্পষ্ট রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। বিশেষ করে ডানদিকে এই চিহ্ন আরও স্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পিঠের দিকে ঘাড়ে কোনো দাগ ছিল না।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই 'লিগেচার মার্ক' ৩৩ সেন্টিমিটার লম্বা ছিল। ডানদিকে দাগটির পুরুত্ব ছিল ছিল ১ সেন্টিমিটার, বাঁদিকে পুরুত্ব ছিল ৩.৫ সেন্টিমিটার। দড়ির চিহ্ন চিবুকের ৪ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, থাইরয়েড গ্রন্থি, সাবকিউটেনাস টিস্যু (চামড়ার ভিতরের স্তর), ল্যারেঞ্জিয়াল পেশীতে কোনও রক্তক্ষরণের চিহ্ন নেই। সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ সুশান্তের দেহের করোনা পরীক্ষাও করা হয়নি। এদিকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই CBI টিম সুশান্তের ময়নাতদন্তকারী ৫ চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সুশান্তের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাতের মধ্যেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত শেষ করতে বলেছিল মুম্বই পুলিস। যদিও ওই ৫ চিকিৎসকের উত্তরে CBI সন্তুষ্ট নয় বলেই খবর।
সুশান্তের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রসঙ্গে AIIMS-এর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান সুধীর গুপ্তা বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কোনও সময় উল্লেখ ছিল না। পুলিসের উচিত ছিল এবিষয়ে দ্বিতীয় মতামত নেওয়া।