সুশান্ত `দিল বেচারা`র শ্যুটিং সেটে সবথেকে বেশি `ওমলেট ও চিজ` খেয়ে নিতেন: সঞ্জনা

Fri, 10 Jul 2020-6:03 pm,

সুশান্ত আর নেই। তাঁকে ছাড়াই ২৪ জুলাই OTT প্লার্টফর্ম ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পেতে চলেছে সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা'।  

তবে 'দিল বেচারা' ছবিটি মুক্তির আগে সোমবার ৬ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে ছবির ট্রেলার। সেকথা জানিয়ে সঞ্জনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ''মান্নিকে ছাড়া কিজি অসম্পূর্ণ''। প্রসঙ্গত 'দিল বেচারা'তে মান্নির ভূমিকায় সুশান্ত ও কিজির ভূমিকায় সঞ্জনাকে পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি দিল বেচারার শ্যুটিং সেটে সুশান্তের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানান কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সঞ্জনা। এই ছবিটি ইনস্টগ্রাম স্টোরিতে দিয়ে সঞ্জনা লিখেছিলেন, ''এই ছবিটি সবেমাত্র খুঁজে পেলাম, এভাবে নিজেকে আগে কখনও দেখিনি। জীবন্ত স্মৃতি খুঁজে পেয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।''

সঞ্জনা আরও লিখেছেন, ''শ্যুটিংয়ের দিনগুলিতে আমরা দুজনেই অনেক মজা, হাসি, ঠাট্টা করে কাটিয়েছি।'' আজ এসব কথা মনে করে অভিনেত্রী যে কষ্ট পাচ্ছেন, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট...

সুশান্তের সঙ্গে পুরনো স্মৃতি শেয়ার করেছেন, নিজের লেখায় সেই স্মৃতিগুলিকেই যেন জীবন্ত করে তুলেছেন সঞ্জনা। লিখেছেন, ''ওয়ে, তোমার মজা, রসিকতায় আমার পেটে ব্যাথা না হওয়ার পর্যন্ত হাসতেই থাকতে হবে। কে কত বেশি শুকরের মাংস, ওমলেট, চিজ আর চা খেতে পারে, তোমার সঙ্গে সেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে হবে। কার স্ক্রিপ্টটা বেশি বেশি ছেঁড়া, জীর্ন অবস্থা হয়ে তা নিয়ে আমাদের ঝগড়া চলবে। খুব কঠিন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের আগে তুমি এসে বলবে, চল না একটু গিয়ে নাচ করি। ইউভাল নোয়া হারারি এবং ফ্রয়ে-এর বই নিয়ে আামদের কী ভাবনা চিন্তা তা নিয়ে আমাদের ঝগড়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ''

সঞ্জনা সঙ্ঘী আরও জানিয়েছেন, তাঁর ও সুশান্তের বন্ধুত্ব হয়েছিল পড়াশোনা ও খাবারের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে। খাওয়া নিয়ে মজার একটি ঘটনা শেয়ার করে সঞ্জনা জানিয়েছেন, ''পরিচালক মুকেশ, সুশান্ত এবং আমি মাদুরের উপর খাবার ছড়িয়ে দিয়ে তিনজনে মিলে গর্জন শুরু করতাম। আমি কতটা খাবার খেতে পাড়ি, তা নিয়ে সুশান্ত আমার সঙ্গে ঠাট্টা করত। তবে খাবার আর পড়াশোনা এই দুটো নিয়ে আমাদের একটা সুন্দর বন্ধুত্ব হয়েছিল। পলিটিক্যাল সাইন্সে স্বর্ণপদক পাওয়ার চিঠি যখন বাবা আমায় পাঠালো, তখন সুশান্ত ও মুকেশ দুজনেই খুব খুশি হয়েছিল।''

সঞ্জনা ছবির চিত্রনাট্য পড়তে যাওয়ার প্রথম দিনের স্মৃতির কথা জানিয়ে লিখেছেন, '' আমরা দুজনেই চিত্রনাট্যটি এতটাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ছিলাম যে, সেটি দেখে মনে হচ্ছিল বহু বছরের পুরনো উপন্যাস। চিত্রনাট্যে অজস্র দাগ দিয়ে ছিলাম। মুকেশ আমাদের শান্ত হতে বলল।''

সঞ্জনার কথায়, সুশান্ত তাঁকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছেন, বলেছিলেন, ''তুমি অনেক উন্নতি করবে দেখো''।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link