কঠিন অসুখ ধরা পড়ে, বাঁচাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সুস্মিতা সেনের!

Sun, 17 May 2020-10:02 pm,

প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বঙ্গ তনায়া সুস্মিতা সেন-কে এভাবেই চেনে গোটা বিশ্ব।  তবে অনেকেরই জানা নেই সুস্মিতার কঠিন অসুখের কথা।

বেশকিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই নিজের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুস্মিতা। 

আপাতত দৃষ্টিতে প্রাণোচ্ছল, সুন্দরী বঙ্গ তনয়া সুস্মিতাকে দেখে চট করে হয়ত কেউই বুঝতে পারবেন না যে, তিনি এতটা অসুস্থ যে তাঁর কাছে বেঁচে থাকাটাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছিল।

সুস্মিতা সেনের কথায়, '' ২০১৪ সালে বাংলা ছবি নির্বাকের শ্যুটিংয়ের সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ি। প্রথমে বিভিন্ন টেস্টে কিছুই ধরা পড়ছিল না। একদিন হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যাই।''

সুস্মিতা জানান, ''আমায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানান আমার শরীরে কর্টিসল হরমোন তৈরি হওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি।''

সুস্মিতা আরও জানান, '' আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কারণে আমার অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থিতে থাকা এই সমস্যার কথা ধরা পড়েছিল। 

সুস্মিতার কথায়, ''চিকিৎসকরা আমায় জানিয়ে দিল যে এবার যেতে স্টেরয়েডের উপরই আমায় বেঁচে থাকতে হবে। যে স্টেরয়েডটা আমায় দিনে ৮ ঘণ্টা অন্তর নিতে হবে।''

সুস্মিতা বলেন, ''রোগের কথা জানার পর পরবর্তী ২ বছর আমার ট্রমার মধ্যে কেটেছিল। কারণ আমি একজন পাবলিক ফিগার। লোকে মিস ইউনিভার্স বলে বোঝে একজন সুন্দরী মহিলাকে। আর আমার চুল দিন দিন উঠে যাচ্ছিল। ''

সুস্মিতা জানান, '' আর এই স্টেরয়েডটা সেই স্টেরয়েড নয় যেটা খেলাধূলো আর শরীরচর্চার জন্য ব্যবহার হয়। আমাকে যেটা দেওয়া হয়েছিল সেটা ব্যবহার করলে ওজন বেড়ে যায়। হাড়ের ঘনত্ব বেড়়ে যায়, রক্তচাপ বাড়ে। আর আমি দুর্বল হয়ে পড়ছিলাম।'' 

সুস্মিতার কথায়, ''খুব চিন্তা হচ্ছিল এটা ভেবে যে আমার দুটো বাচ্চা আছে। আর আমি সিঙ্গল মাদার। ওদের আমায় প্রয়োজন। ২০১৪ থেকে ১০১৬ পর্যন্ত আমায় যদি দেখেন দেখবেন সেসময় আমি এক অন্য সুস্মিতা, যদিও এই সময়টা জীবনে আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে।''

সুস্মিতার কথায়, ''তবে আমি লড়াই করব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই নিজের কাছেই, যোগা শুরু করি,অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি জিমনাস্টিকস করা শুরু করি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ি যে আমায় আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা পর চিকিৎসকরা আমার স্টেরয়েড নেওয়া বন্ধ করে দেন। বলেন, আমার শরীর আবার কর্টিসল হরমন তৈরি করছে। প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। আমি তিনবার ধরে টেস্ট করি। ''

প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা জানান, তিনি বিষয়টাকে কীভাবে গ্রহন করবেন বুঝতেই পারছিলেন না। তবে এখন তিনি ভাল আছেন এবং তাঁর জীবনের কিছু মানুষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link