দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি: শুভেন্দু
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম করছেন না। স্পষ্ট করে বলছেন না। অথচ একের পর এক বাক্যবাণ ছুঁড়েই চলেছেন। বৃহস্পতিবার ঘাটালে বিদ্যাসাগর স্কুলের মাঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'আমরা এগোব, অন্যরা দেখবে আর কাঁদবে। দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।' তবে এ দিন তাঁর মুখে 'নেত্রী' শোনা গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেননি। তবে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গে 'নেত্রী' উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তিনি বলেন,''আমি সে সব দিনের কথা ভুলে যাইনি। আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই হয়েছিল ঘাটালে। আমাদের প্রার্থীর হাত ভেঙে দিয়েছিল। নার্সিংহোমে আমাদের প্রার্থী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কোঠারি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। হাতে প্লাস্টার নিয়ে সেই প্রার্থী প্রচার করেছেন। তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে লক্ষ্মণপুর গ্রামে ঢুকেছিলাম।''
জনতার উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা,আপানাদের সঙ্গে ছাত্রাবস্থায় ছিলাম। আজ আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা এগোব, অন্যরা দেখবে আর কাঁদবে। ট্রাকগুলো যায় দেখেছেন, পিছনে লেখা থাকে, দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি!
তিনি যে ভূমিপূত্র তাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন,''এই গ্রামের ছেলে উপরে ভরসা আছে? পান্তা খাওয়া, গামছা পরা গ্রামের লোক আমরা। গরিব নয়, মেদিনীপুরের মানুষের শিক্ষাদীক্ষা আছে। মোটা চাল, মোটা কাপড় আমাদের ঘরে থাকে। আমাদের বিদ্যাসাগরই বর্ণপরিচয় লিখেছিলেন।''
উল্লেখ্য, বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সন্ধেয় বাগুইআটিতে কালীপুজোর উদ্বোধনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।