Swami Vivekananda: কীভাবে প্রয়াণ ঘটেছিল স্বামী বিবেকানন্দের? জেনে নিন বীর সন্ন্যাসীর মৃত্যুরহস্য...

Soumitra Sen Tue, 04 Jul 2023-2:12 pm,

১৯০২ সালের ৪ জুলাইয়েও অন্য দিনের মতোই স্বামীজি বেশ সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন। বেলুড় মঠের মন্দিরগৃহে তিন ঘণ্টা ধ্যান করেন তিনি। এরপর ছাত্রদের শুক্ল-যজুর্বেদ, সংস্কৃত ব্যকরণ ও দর্শনশাস্ত্র পড়ান। পরে স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ পায়চারি করেন, আলোচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে। তাঁর কাছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ইচ্ছের কথাও বলেন।   

 

সেদিন বেলুড়ঘাটে জেলের নৌকো ভিড়েছিল। নৌকোয় ছিল গঙ্গার ইলিশ। মহোত্‍সাহে সেই ইলিশ কেনেন বিবেকানন্দ। সবার সঙ্গে বসে দুপুরে খেলেনও ইলিশের নানা পদ। 

 

দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যেস ছিল না। চলে গেলেন লাইব্রেরিতে। কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে স্বামী প্রেমানন্দকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে এলেন বেলুড় বাজার।

তারপর সন্ধ্যারতিতে উপস্থিত হন। আরতির পরে সন্ধে ৭টা নাগাদ নিজের ঘরে চলে যান। বলে যান, এখন কেউ যেন তাঁকে বিরক্ত না করে। ঘরে গিয়ে ধ্যানে বসেন স্বামীজি। বেশ কিছুক্ষণ পরে শিষ্যদের ডেকে বললেন , খুব গরম হচ্ছে, জানলা খুলে দাও। কপালে তাঁর বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছিল। শিষ্যেরা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে লাগলেন।

 

স্বামীজি শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁর মুখ থেকে কেমন একটা শব্দ বেরল। মাথা গড়িয়ে পড়ল বালিশ থেকে। মুখে কিন্তু স্মিত হাসি। রাত ন’টা নাগাদ সব শেষ।

ডাক্তারেরা এলেন। স্বামীজির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ডাক্তারেরা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে ডেথ সার্টিফিকেট লিখতেই হল। সেখানে লেখা হল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল। স্বামীজির শিষ্যদের মতে, বিবেকানন্দ মৃত্যুর আগে মহাসমাধি লাভ করেছিলেন। শিষ্যদের দাবি, মহাসমাধির সময়ে মস্তিষ্কের ব্রহ্মরন্ধ্র ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link