গোড়ালি, হাঁটু, কোমরে চোট নিয়ে সোনাজয়! এশিয়ান গেমসের জন্য অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দিয়েছিলেন স্বপ্না
১৩ বছর বয়সে স্বপ্না বর্মনকে আবিষ্কার করেন কোচ সুভাষ সরকার। স্বপ্না নিজেও কখনও বিদেসি কোচের কাছে ট্রেনিং করার পক্ষপাতি নন। সুভাষের পরামর্শেই হেপ্টাথলন ইভেন্টে নাম লেখান জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না।
সুভাষের মতে, স্বপ্না বর্মন প্রচণ্ড মুহূর্তবাদী। আর তাঁকে বেধে-ধরে রাখাটা সত্যি কঠিন কাজ।
একটা সময় হতাশায় কলকাতার সাই থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন স্বপ্না। তার পর কোচ সুভাষ তাঁকে ফের বুঝিয়ে-শুনিয়ে ট্র্যাকে ফেরান।
কোচের মতে, স্বপ্না একজন চোটপ্রবণ অ্যাথলিট। কিন্তু চোট সত্ত্বেও স্বপ্নার সাফল্যের হার অন্যদের থেকে বেশি।
আমরা সবাই শুধু তাঁর দাঁতে ব্যাথার কথাই জানি। তবে স্বপ্নার হাঁটু, কোমর ও গোড়ালিতেও চোট ছিল। এছাড়া হিপ জয়েন্টেও ব্যাথা নিয়ে নেমেছিলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে।
জাতীয় কোচ বাহাদুর সিং এশিয়ান গেমসের আগে বলেছিলেন, স্বপ্না কোনও বড়সড় চোটের কথা লুকিয়ে নামছেন না।
''নিজের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ লড়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এশিয়ান গেমসে যদি পদক জিততে না পারি তা হলে আর কোনও টুর্নামেন্টে পদক জিততে পারব না। এশিয়ান গেমসে নিজেকে শেষ সুযোগ দিয়েছিলাম। পদক না জিতলে আর নামতাম না।'' বলছিলেন স্বপ্না। সেইসঙ্গে এটাও জানালেন, এশিয়ান গেমসের জন্য অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচার সফল না হলে তাঁর পদক জয়ের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকত বলে।
স্বপ্নার এবারের লক্ষ্য ওলিম্পিক। তবে তার আগে মুম্বইতে তাঁর কয়েকটা টেস্ট হবে। তার পর অস্ত্রোপচার।
২০১৭ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো জয়ের পরই স্বপ্নার রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত হয় অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে।