Bangladesh vs South Africa: ঘরের মাঠেই ১০৬ রানে ভোকাট্টা, স্রেফ নামেই বাংলাদেশ বাঘ! মাঠে সেই ভিজে বিড়ালই...
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার অর্থাত্ আজ থেকে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে গেল প্রথম টেস্ট। নাজমুল হোসেন শান্তদের মুখোমুখি আইডেন মারক্রমরা। টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এটাই হয়ে গেল কাল!
কাগিসো রাবাডা (৩ উইকেট), উইয়ান মালডার (৩ উইকেট) ও কেশব মহারাজকে (৩ উইকেট) খেলেত নাকানিচোবানি খেলেন নাজমুলরা। ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১০৬ রানে! দলের সর্বাধিক রান মাহমুদুল হাসান জয়ের (৩০)! বাকি কারোর রান বলার মতোই নয়।
মারক্রমরাও কিন্ত তথৈবচ! ১৪০ রান তুলতে গিয়ে তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন ৬ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিন বাঁহাতি স্পিনে আলো ছড়ালেন তাইজুল ইসলাম। একাই ভেঙে দিয়েছেন প্রোটিয়া ব্য়াটারদের শিরদাঁড়া। তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এক উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে আছে মাত্র ৩৪ রানে!
টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি হলেন তাইজুল। এতদিন এই ক্লাবে একাই ছিলেন সাকিব আল হাসান। দু'শো উইকেটের ক্লাবে ঢুকতে ৫৪টি টেস্ট খেলতে হয়েছিল সাকিবকে। ৬ ম্যাচ কম সাকিবকে স্পর্শ করলেন তাইজুল। বাংলাদেশের হয়ে ১৩ বার টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তাইজুল। সর্বোচ্চ ১৯ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলেই অবসরে নেওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন দলের সুপারস্টার সাকিব। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর দেশে ফেরা হয়নি। এমনকী তাঁকে প্রথম টেস্টেও রাখা হয়নি। তার মানে কি ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টই সাকিবের শেষ টেস্ট হয়ে গেল? নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তাও। সবকিছুই যেন ধোঁয়াশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মীরপুর! বিকেল তিনটে নাগাদ তুলকালাম বাঁধে সাকিব ভক্ত ও বিরোধীদের মধ্য়ে। সাকিবের ভক্তরা তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে নেওয়া-সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। আচমকাই তাদের উপর সাকিবের বিরোধীরা হামলা চালান বলে খবর। এর আগে মীরপুরে স্টেডিয়ামের সামনে লং মার্চ করেছিলেন সাকিবের ভক্তরা। সাকিবকে দেশের মাটিতে অবসরের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ছিলেন ভক্তরা। এই সময় সাকিবের বিরোধীপক্ষ তাঁদের ধাওয়া করেছিলেন বলেই অভিযোগ। এর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিস এবং সেনা এসে দুই পক্ষের লোকজনকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।