Taliban: কতটা ধনী জঙ্গি সংগঠনটি? আয়ের উৎসই বা কী?

Sat, 14 Aug 2021-6:40 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রায় কাঁধের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তালিবান। শীঘ্রই কি দেশটির দখল নিয়ে জঙ্গি সংগঠনটি? সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতও। আফগান সরকার-তালিবান দ্বন্দ্ব কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে তাকিয়ে নয়াদিল্লিও। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২১-এর তালিবানের সঙ্গে ১৯৯০-এর তালিবানের বিস্তর ফারাক রয়েছে। যুদ্ধের কৌশল থেকে শুরু করে যুদ্ধাস্ত্র, যানবাহন থেকে শুরু করে পোশাক, সমস্ত ক্ষেত্রেই নিজেদের অনেক আধুনিক করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে গেলে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ মূলধন। অনেকেরই প্রশ্ন, তালিবানদের আয়ের উৎস কী? বিশ্বের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর তুলনায় কতটা ধনী এরা?

২০১৬-তে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় নাম ছিল তালিবানদের। পঞ্চম স্থানে ছিল জঙ্গি সংগঠনটি। সেবার তাদের বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

ফোর্বসের বিচারে জঙ্গি সংগঠনটির মূল আয়ের উৎস হল ড্রাগ পাচার, অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া আর্থিক অনুদান। 

Radio Free Europe/Radio Liberty নামে একটি সংস্থার হাতে এসেছিল NATO-র একটি গোপন তথ্য়। যাতে উল্লেখ ছিল, ২০১৯-২০ সালে তালিবানের বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চার বছরে জঙ্গি সংগঠনটির আয় বাড়ে হয়েছে প্রায় ৪০০ গুণ।

পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী অনুদানের উপর নির্ভরতা কমিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে তারা। তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ তে প্রায় ৫০০ মিলিয়ান মার্কিন ডলার অর্থ বিদেশী অনুদান হিসেবে পেয়েছিল সংগঠনটি। ২০২০-তে ১৫ শতাংশ কমেছে সেই পরিমাণ।   

মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাইডেন শপথ নেওয়ার পরই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে আমেরিকা। হিসেব বলছে, গত ১৯ বছর ধরে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে রাখতে কয়েক ট্রিলিয়ন অর্থ খরচ করেছে আমেরিকা।

গত কয়েক বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তালিবান। বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ থেকে বিপুল আয় পাচ্ছে তাঁরা। সেজন্যই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো ফোর্স প্রত্যাহারের কয়েক দিনের মধ্যে, সেখানে ঘাঁটি শক্ত করেছে জঙ্গি সংগঠনটি। যা গোটা বিশ্বের কাছে আতঙ্কের বিষয় বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।   

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link