তেজস এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান, চার ঘণ্টায় পেরোল ২৭৯ কিমি পথ
তেজস এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান হল। আর তাতে লেটার মার্কস নিয়ে পাস করল কর্পোরেট সেক্টরে দেশের প্রথম ট্রেন। শুক্রবার সকাল ৬.৫ মিনিটে লখনৌ স্টেশন থেকে রওনা হয়েছিল তেজস এক্সপ্রেস।
১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গড় গতিবেগে ২৭৯ কিমি রাস্তা পাড়ি দিতে তেজস সময় নিয়েছে চার ঘণ্টা দশ মিনিট।
চার ঘণ্টা দশ মিনিট পর গোরখপুর পৌঁছয় তেজস এক্সপ্রেস। এরই মধ্যে তেজস এক্সপ্রেসে সওয়ার স্টাফ ও রেলের অন্য কর্মীরা সেলফি তুললেন। ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তাঁরাই।
তেজসে থাকবে পাওয়ার কার। ট্রেনে আগুন লেগেছে কিনা তার নজরদারিতে থাকবে সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম। এছাড়া অটোমেটিক স্মোক ডিটেক্টর সিস্টেম থাকবে। এদিন সবই পরীক্ষা করে দেখা হয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক তেজস এক্সপ্রেসে আর কী কী থাকছে-
প্রতিটি সিটের উপরে থাকবে অ্যাটেন্ড্যান্ট-কে ডাকার আলাদা সুইচ।
পড়াশোনার জন্য রিডিং বটন থাকবে।
সুইচ টিপে খোলা ও বন্ধ করা .যাবে জানলার পর্দা।
কামরার দুই প্রান্তে থাকা দুটি দরজা খুলবে সুইচ-এ।
সামনে যেতে নিজে থেকে খুলে যাবে অটোমেটিক ডাস্টবিন।
সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ পেলে নিজে থেকেই থেমে যাবে ট্রেন।
প্রতিটি কামরায় থাকবে একাধিক সিসিটিভি।
এমার্জেন্সিতে ট্রেন থামানোর জন্য চেন-এর বদলে থাকবে হ্যান্ডেল।
শৌচালয়ে কতটা জল রয়েছে তা জানিয়ে দেবে ইন্ডিকেটর।
গেট খোলা ও বন্ধ করার সুইচ থাকবে গার্ড-এর কাছাকাছি জায়গায়।
প্রতি বগিতেই থাকবে মিনি কিচেন।
প্রতি বগিতে থাকবে পাবলিক ইনফরমেশন ডিসপ্লে ও সেন্ট্রাল টেবিল।