শহরের বুকে দানব যন্ত্রের ‘হুঙ্কার’! গাছ কেটে সাফ মাত্র পাঁচ মিনিটে
অয়ন ঘোষাল: যেমন বুনো ওল। তেমনি বাঘা তেঁতুল। যত বড় গাছ, তার থেকে বড় মেশিন। ঠিক এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় টেলিস্কোপ ক্রেন যন্ত্রকে।
জে সি বি পারেনি। এলাকায় ঢোকা যায়নি। এসব এখন অতীত ‘অজুহাত’। উড়ালপুল বা ব্রিজের গার্ডার ভেঙে পড়লেও মাত্র ৫ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে তুলে দেবে টেলিস্কোপ ক্রেন।
কলকাতা পুরসভা বা দমকল বিভাগের হাতে এই মুহুর্তে নেই টেলিস্কোপ ক্রেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণকারী এক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আপাতত দুটি ক্রেন জোগাড় করেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
মেশিনের কাজের গতি আর বিপুল শক্তি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত কতটা সময়োপযোগী। শুরু হল শ্রীভূমি স্পর্টিং ক্লাবে ঢোকার রাস্তায় নেতাজির সুবিশাল মূর্তির সামনে গত বুধবার থেকে পড়ে থাকা প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু বট গাছ দিয়ে। তুড়ি মেরে ৫ মিনিটের মধ্যে গাছ সরিয়ে দিল শহরের নতুন হিরো।
এবার এলাকার চাহিদা বুঝে পরপর কাজ। আগামী ১০ দিন এটি ব্যাবহার করতে পারবে দমকল। ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা ১০ দিনের জন্য এটি দিয়েছে দমকল বিভাগকে। শুধু ডিজেল খরচ আর কর্মীদের খাওয়া দাওয়া। ব্যস। কার্যত বিনামূল্যেই সরকারকে এই যন্ত্র তুলে দিয়েছে ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা।