Titanic House: আর কয়েকদিন পরেই `টাইটানিকে`র মাথায় বসে চা পান করার সুযোগ...

Soumitra Sen Sat, 06 May 2023-5:24 pm,

একটা সময় মিন্টু নিজেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দীর্ঘকাল নেপালে থেকে সেই কাজ ভালো করে শেখেন৷ 

পরে দেশে ফিরে এসে কৃষিকাজে মন দেন। এবং পাশাপাশি ধীরে ধীরে তৈরি করতে শুরু করেন আস্ত কংক্রিটের জাহাজ। নিজের বাড়ির উঠোনে প্রায় ১২ বছর ধরে গড়ে তুলছেন এই জাহাজ-বাড়ি। 

 

কৃষিকাজে যতটুকু আয় হয় তার উপর নির্ভর করেই নির্মাণকাজ। কড়া রোদে জমিতে ফসল ফলান, আর রাতের নিস্তব্ধতায় ভাবেন তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার কথা। 

 

কিন্তু টাকা তো স্বপ্ন মেনে চলে না। টাকা একদিন শেষ হয়, আর টাকা শেষ হলে ফের টাকার অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই। টাকা জোগাড় হলে আবার শুরু জাহাজ-বাড়ির নির্মাণকাজ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।

মিন্টু রায় জানান-- বহুদিনের ইচ্ছে এমন একটি জাহাজ-বাড়ি তৈরি করি। পরিবারের লোকেরা সমর্থন জুগিয়েছে বলেই এতদূর করতে পেরেছি। এখনও অনেক কাজ বাকি। আরও দুবছরের মতো সময় লাগবে। উপরে রেঁস্তোঁরা খোলার ইচ্ছে রয়েছে৷ অনেক মানুষই আসছেন দেখতে। দেখা যাক যদি গ্রামীণ পর্যটনের অংশ হিসেবে বা ইকো-পর্যটনের অংশ হিসেবে এটাকে গড়ে তোলা যায়!

সেটা কি সম্ভব? 'হিমালয় হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে'র সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, এগ্রিকালচার বেসড ট্যুরিজম ও ভিলেজ কালচার বেসড ট্যুরিজমের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। সেটা যদি কেউ করতে চান আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব। তাঁর যদি কোনও সহযোগিতার দরকার পড়ে, তাহলে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্যও উদ্যোগ নেব আমরা।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link