শকুন্তলা দেবীর থেকেও দ্রুত! বিশ্বের `দ্রুত মানব ক্যালকুলেটর` ভারতের ভানু
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানব ক্যালকুলেটর বললে প্রথমেই আসে শকুন্তলা দেবীর নাম। কিন্তু এই ব্যক্তি শকুন্তলা দেবী কিংবা স্কট ফ্লেনসবার্গের থেকেও দ্রুত। তিনি ২০ বছর বয়সী নীলকন্ঠ ভানু প্রকাশ।
দিল্লির স্টিফেন কলেজের এই ছাত্রের নামের পাশেই "দ্রুত মানব ক্যালকুলেটরের" রেকর্ড। অতি সম্প্রতি লন্ডনের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নসিপ অ্যাট মাইন্ড স্পোর্টস অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ পদক সংগ্রহ করেছেন নীলকন্ঠ।
সেই প্রতিযোগিতায় ১৩ টি দেশের ২৯ জন প্রতিযোগিকে হারিয়ে তিনি জিতেছেন। তাঁর দ্রুততা দেখে বিচলিত হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকরা। তাই একাধিকবার তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে প্রথম হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। এই বছর অনলাইনে জার্মান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, গ্রিস -সহ বিভিন্ন দেশের ৩০ জন প্রতিযোগির মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভারতের ভানু।
ইতিমধ্যেই ৪ টি বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী নীলকন্ঠ। তাঁর মস্তিষ্ক ক্যালকুলেটরের থেকেও দ্রুত গতিতে কাজ করে। তাঁর কথা অনুযায়ী, "শকুন্তলা দেবী কিংবা স্কট ফ্লেনসবার্গের রেকর্ড ভাঙা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সারা বিশ্বের অঙ্কে ভারতকে পৌঁছে দিতে আমি সামান্য কিছু কাজ করেছি।"
এই প্রথম এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক এলো দেশে। একথা বলে অঙ্কের জাদুকর তাঁর "ভিসন ম্যাথের" কথা প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে তাঁদের অঙ্ককে ভালোবাসতে শেখাবেন। নীলকন্ঠের বাবা ছেলের এই সাফল্যে খুশি। তাঁর কথা অনুযায়ী, "ভানু প্রমাণ করেছে সে দেশের গর্ব। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক আনল।"