পুলিসের অমানবিক আচরণ, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাগবাজার বস্তির বাসিন্দারা
রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর, এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপ বাগবাগারের হাজারহাত বস্তি। হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন।
যদিও গতকাল ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন আক্রান্তদের সব দায়িত্ব প্রশাসনের। তবে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা।
একরাতের মধ্যে কার্যত সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছেন ওঁরা। প্রয়োজনীয় নথী, কারও বিয়ের প্রস্তুতির সামগ্রী সবই ছাই-এর স্তুপে।
সকাল থেকেই ধ্বংস্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন তাঁরা। যদি কিছু খুঁজে পাওয়া যায়, সেই আশায় ধ্বংসস্তুপ হাতড়ানোয় ব্যস্ত। আজই ঘটনাস্থলে তদন্তে ফরেনসিক টিম।
বৃহস্পতিবার সকালে সর্বস্বান্ত সেই সব মানুষেরা বাগবাজার বস্তির সামনে এলে সকাল থেকেই এলাকা ভিড়ে ছেয়ে যায়।
পুলিস রাস্তা সচল রাখতে ভিড় কমানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সব হারানোর যন্ত্রণা যেন আরও দ্বিগুণ ক্ষোভ হয়ে ফিরে আসে।
স্থানীয়দের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ নথির সন্ধানে তাঁরা সেখানে এসেছেন। উল্লেখ্য, এদিন সকালে শশী পাঁজা যান বস্তিতে।
কলকাতা পুরপ্রশাসক, ফিরহাদ হাকিম এসে সাহায্যের কথা বললেও পুলিস একেবারেই সাহায্য করছে না। উল্টে তাঁদের সরে যেতে বলছে। সেই ক্ষোভ থেকে রাস্তা অবরোধও করেন তাঁরা।
পুলিস যদিও বলছে, আটকাতে নয় সাহায্যের জন্য পুলিসবাহিনী সেখানে এসেছেন। কাউকে আটকানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না, দাবি পুলিসের।
বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ বাগবাজারের বস্তিতে আগুন লাগে। আড়াই ঘণ্টার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ। আগুন লেলিহান শিখার গ্রাসে বাগবাজারে হাজারহাত বস্তি। ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসও। এ দিন রাতে বাস্তুহারাদের বাগবাজার উইমেন্স কলেজে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।