International Day for the Conservation of the Mangrove: সবুজরক্ষার প্রতিজ্ঞাদিন
ভূমি ও সমুদ্রের মধ্যে একটা বাফার জোন রচনা করে এই Mangroves। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই অরণ্যের রয়েছে নিজস্ব Ecosystem। যাকে প্রকৃতির স্বার্থেই রক্ষা করা খুব জরুরি।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের এই ইকোসিস্টেম উপকূলবর্তী মানুষকে প্রভূত সাহায্য করে। তাঁদের খাদ্যসুরক্ষা বা স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে এর গভীর অবদান। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের এই অবদানের কথা মাথায় রেখেই একটি দিন ঠিক করা হয়েছে যেদিন মানুষ ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের শপথ নেবে। সেই দিনটি আজ। ২৬ জুলাই। আজই বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় The International Day for the Conservation of the Mangrove Ecosystem।
কিন্তু ম্যানগ্রোভ শুধু মানুষকেই যে রক্ষা করে তা কিন্তু নয়। এই বিশ্ব-পরিবেশকে রক্ষার ক্ষেত্রেও তার প্রভূত অবদান।
পৃথিবীর অতি পরিচিত দুই ম্যানগ্রোভ অরণ্য হল সুন্দরবন ও আমাজন। এ দুটির সৌন্দর্য ও কার্যকারিতায় যুগ যুগ সমৃদ্ধ হয়ে আসছে মানবজাতি।
ম্যানগ্রোভ জীববৈচিত্র্যের ধারক-বাহক। মাছ ও নানা ধরনের জলজ প্রাণী এবং অ-জলজ বিচিত্র সব প্রাণীর বাসস্থান হিসেবে ম্যানগ্রোভ খুবই কার্যকর এক প্রাকৃতিক জায়গা।
তবে ম্যানগ্রোভের সব চেয়ে কার্যকারিতা সম্ভবত ঝড় রুখে দেওয়ায়। ম্যানগ্রোভকে ঝড়, সুনামি, ভূমিক্ষয়, সমুদ্রস্তরের উত্থানের বিরুদ্ধে Natural Coastal Defense মনে করা হয়। পরিবেশের কার্বনকে শুষে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ম্যানগ্রোভের কার্যকারিতার কোনও বিকল্প নেই।
কিন্তু এত কিছুর পরেও রক্ষা পাচ্ছে না ম্যানগ্রোভ। পৃথিবীতে স্বাভাবিক অরণ্য দ্রুত বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ম্যানগ্রোভ নষ্ট হওয়ার গতি তার চেয়েও অন্তত ৩-৫ গুণ বেশি! এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য তো নষ্ট হচ্ছেই, এর socio-economic প্রভাবও খারাপ হচ্ছে। একটা হিসেব বলছে, সারা পৃথিবীর যা মোট ম্যানগ্রোভ অরণ্য গত ৪০ বছরে তার অর্ধেকই নষ্ট হয়ে গেছে।
UNESCO বরাবরই Conservation of Mangrove নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তারা ম্যানগ্রোভ এবং তার সঙ্গে জড়িত জনজাতির আন্তঃসম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে খুবই উদ্যোগী থেকেছে।
সেই ভাবনা থেকেই UNESCO ২০১৫ সালে তাদের সাধারণ অধিবেশনে The International Day for the Conservation of the Mangrove Ecosystem পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি বছর ২৬ জুলাই তারিখে এ দিনটি পালিত হওয়া নির্ধারিত হয়।
দিনটির লক্ষ্য হল-- ম্যানগ্রোভ জঙ্গল রক্ষা বিষয়ে সচেতনতার প্রচার। সাধারণ মানুষ যাতে এই বিরল অরণ্যসম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসে সেটাই মূল লক্ষ্য।