শীতের আগাম ইনিংসে মধ্যবিত্তের গলার কাঁটা শীতের সবজির চড়া দাম
অয়ন ঘোষাল: কোনো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেই। নেই সুপার সাইক্লোন, অতি বৃষ্টি অথবা অনাবৃষ্টি। জেলায় জেলায় কিষান মান্ডিতে সবজির দাম গতবারের থেকে কম। কিন্তু কলকাতার বাজারে ঢোকার পর সেই দাম দেখে চোখ চড়কগাছ মধ্যবিত্ত মানুষের। আদতে পুজোর আগে অকালে শীতের সবজি যে চড়া দামে তারা কিনেছেন, সেই দাম এখনও বহাল কলকাতার বাজারে বাজারে।
ফুলকপির দাম ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পিস। কড়াইশুঁটি ১২০ টাকা কেজি। পালং শাক ৪০ টাকা কেজি। সীম ৪০ টাকা কেজি পিয়াজকলি ১০০ টাকা কেজি। গাজর ৭০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকাম ৬০ টাকা কেজি।
বিচিত্র বিষয় হল, চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আগে পরে মোটের ওপর এই সবজিগুলির এই দামই ছিল। দুই একটি ব্যতিক্রম বা পাঁচ সাত টাকা এদিক ওদিক হয়েছে দুইএকটি সবজির ক্ষেত্রে। অথচ পাইকারি হিসেব বলছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় এবার সবজির ফলন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বিশেষত কলকাতায় যে সমস্ত পাশ্ববর্তী জায়গা থেকে সবজি আসে, সেখানে সবজি উপচে পড়ছে। তাহলে কলকাতার বাজারে দাম কমছে না কেন?
বিক্রেতারা মুখে আশ্বস্ত করছেন, আর দিন পনেরো অপেক্ষার পর সবজির দাম কমে যাবে কলকাতার বাজারে। তারাও স্বীকার করছেন, এবার সবজির ফলন অত্যন্ত ইতিবাচক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পরিবহণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে কমে যাওয়া সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের। কিন্তু দীর্ঘ সময় জ্বালানির দাম একই আছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত আছে ২০২২। ফের কবে সুলভে মিলবে শীতের সবজি? অপেক্ষায় মধ্যবিত্ত।