এসে পড়ল যে পয়লা বৈশাখ! কী হবে মধ্যাহ্নভোজ?
আজ নীল ষষ্ঠী। শিবের ব্রত। রাত ফুরোলেই আগামী কাল চৈত্র সংক্রান্তি। চড়ক।
কিন্তু একে ভোট, তায় নতুন করে শুরু হওয়া করোনার চোখ রাঙানিতে চক্ষু চড়কগাছ! চড়ক আর কোথায় হবে?
কিন্তু তাই বলে কি পেটপুজো বন্ধ থাকবে? পরশু নববর্ষ। তার বাজারটা তো কালই মানে চৈত্রসংক্রান্তির দিনই সকাল সকাল গিয়ে সেরে ফেললে ভাল।
কী কী বাজার করবেন? উচ্ছে-বেগুন-পটল-ডাঁটা। কাঁচা আম, নটে শাক, কুমড়ো। কিনতে হবে মাছও।
এবার ধরে নেওয়া যাক, ১ বৈশাখের সকাল। প্রাতঃরাশ সেরেই কোটা-বাটায় মন দিতে হবে। বাঙালির নববর্ষে মধ্যাহ্নভোজে মাছ মাস্ট। হয়তো কাতলাই প্রেফারেন্স পাবে, না হলে রুই। আর একটা মাত্র মাছের পদে কি মন থুড়ি পেট ভরে? সঙ্গে একটু চিংড়ি থাকবে না? বিশেষত এই ভরা এঁচোড়ের দিনে! এঁচোড়-চিংড়ি দিয়ে বাংলা বছরের প্রথম মধ্যাহ্নভোজটা শুরু করতে পারলে মন্দ কী?
এর পর ডাল-শুক্তো-শাক-ভাজা তো আছেই। অবশ্যই থাকবে নতুন-ওঠা কাঁচা আমের চাটনি। শেষপাতে মিষ্টি থাকবেই। চাইলে দই। আইসক্রিমের বদলে এদিনটা দইয়ের দিকে ঝুঁকে থাকাই ভাল।
তবে এসবের মাঝে ট্যাঁক আর হজমশক্তি দু'জনে মিলে সম্মতি দিলে একটু মাটন বা চিকেনও যোগ হতে পারে।
তারপর আর কী? ভরপেট খেয়ে একটু দিবানিদ্রার বিলাসিতা তো এদিন দেখানোই যায়। তারপর তো আবার দোকানে-দোকানে বিকেলে মিষ্টি ও ক্যালেন্ডারের জন্য বেরোতে হবে!