একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মহাভারতের `দ্রৌপদী` রূপা গঙ্গোপাধ্যায়!

Sat, 25 Apr 2020-3:27 pm,

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, বর্তমানে বিজেপি নেত্রী ফের একবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন। সৌজন্যে 'মহাভারত'-এর পুনঃ সম্প্রচার। 

যেখানে দ্রৌপদীর চরিত্রে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছিল। দ্রৌপদীর ভূমিকায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় যে অসামান্য, সেকথা নতুন করে না বললেও চলে। 

তবে শুধু অভিনেত্রী হিসাবেই নয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় একজন ভীষণ ভালো গায়িকাও, সেকথা হয়ত অনেকেই জানেন না। 

সফল কেরিয়ার থাকা সত্ত্বেরও তাঁর বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। ১৯৯২ সালে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়র ধ্রুব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। 

দীর্ঘ ২০০৭ সালে তাঁদের রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী ধ্রুব মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর ২০০৯ সালে পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। 

রূপা গঙ্গোপাধ্যায় একবার নিজেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর স্বামী ও সংসারের জন্য কেরিয়ারও একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন। সংসার বাঁচাতে মুম্বই ছেড়ে কলকাতা এসে পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করেন। তবুও বিয়ে টেকাতে পারেননি।

 

 তাঁর ১৪ বছরের সংসার ভেঙে যায়।  বিবাহিত জীবন সফল হয়নি। এদিকে কেরিয়ারও থেকেও সরে এসেছিলেন। সেকারণে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়। 

রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বিয়ে বাঁচাতে সব চেষ্টাই করেছিলেন তিনি। যাতে সাংসারিক জীবনে কোনও সমস্যা না হয়, সেকারণে সকাল ৯টার আগে এবং রাত ১০টার পর বাইরের কোনও ফোন কলও রিসিভ করতেন না।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি সব সময় শ্যুটিং শেষ হলেই মেকআপ তুলে বাড়ি ফিরে আসতেন। একটা মেয়ে হিসাবে বিয়ে বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর কথায়, তাঁর কাছে সংসারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, আর বাড়িতে সেলিব্রিটির মতো আচরণ কখনওই করতেন না।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়া, বাসন মাজা, রান্না, সব কাজ নিজের হাতে করেছেন, কোনও দ্বিধা না করে। তবে স্বামী ধ্রুব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাংসারিক অশান্তির সময় তাঁকে তাঁর স্বামী টাকা দেওয়াও বন্ধ করেছিলেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রূপা।

সাক্ষাৎকারে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের মানুষ, আর এটাই তাঁর স্বামী ধ্রুব হয়ত মেনে নিতে পারছিলেন না। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর পেশাটাই এইরকম, তাতে তাঁর দোষ কোথায়? তাঁর কথায়, এমন বহুবার হয়েছে তিনি তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স পেপার দিয়েছেন, আবার নিজেই সেটা ছিঁড়ে ফেলে ক্ষমা চেয়েছেন।

এত চেষ্টার পরও বিয়েটা বাঁচাতে পারেননি বলেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

পরবর্তীকালে তাঁর থেকে ১৩ বছরের ছোট এক গায়কের সঙ্গে মুম্বইয়ে ওশিওয়ারাতে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। পরে সেই সম্পর্কও ভেঙে যায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।  একাধিক অসফল সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেকারণে একবার নয়, প্রায় তিনবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন একবার তিনি তাঁর ছেলে আকাশ-এর জন্মের আগেই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, পরে দুবার ছেলের জন্মের পর।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link