`টাকা আনো, সংসার করব, বাড়ির বউ রান্না করবে`, লকডাউনে কাজ না থাকায় বরকে ঘাড়ধাক্কা স্ত্রী-র
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, স্ত্রীর কথা মেনে থাকতেন ঘরজামাইও, কিন্তু লকডাউন সেই ৩০ বছরের 'সুখী' দাম্পত্যে ভাঙন ধরাল। অটো চালানো বন্ধ, আয় নেই, তাই ঘর থেকে স্বামীকে বার করে দিল স্ত্রী।
চন্দননগরের বেনেপুকুরের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ হাসিমের কাছে বদলে গেল ভালোবাসা, সুখী দাম্পত্যের সংজ্ঞা। ১৯৯২ সালে ফটকগোড়ার বাসিন্দা গোপা চক্রবর্তী বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই থাকতেন। স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে সংসার।
চন্দননগর স্টেশন রোডে অটো চালাতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় রোজগার। সংসার চালানোর টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বার করে দিল স্ত্রী-মেয়ে। বেশ কিছুদিন রাস্তাতেই কাটান তিনি। পরে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, খাবার-জামাকাপড় দেন।
শেখ হাসিমের কথায়, "এতদিন টাকা দিতে পারতাম, সুখ ছিল সংসারে, টাকা নেই, তাই ঘরবাড়িও নেই।" স্বামীকে যে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে, সেকথা একবাক্যেই স্বীকার করছে স্ত্রী গোপা। তার আবার সোজাসাপটা উত্তর, "স্বামী হলে রোজগার করতেই হবে, বাড়ির বউ রান্নাবান্না করবে, স্বামী ঘরে টাকা আনবে। টাকা রোজগার করতে না পারলে নিজের পথ নিজে দেখে নাও, আমি ওতসব টানতে পারব না।"