বিশ্বের প্রথম ভাসমান গোয়ালঘর, দুধ দোয়াবে রোবট! কোথায় এমন হচ্ছে জানেন?
ডাচ সংস্থা বেলাজন এমন প্রোজেক্ট ভেবেছে। যদিও ভাসমান ফার্ম-এর কথা প্রথম ভেবেছিলেন মিকে ভ্যান উইঙ্গারডেন। এর আগে যিনি নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতে একটা ভাসমান বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এবার রটারডামে ভাসমান গোয়ালঘর তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। ভাবছেন বললে ভুল হবে। কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
আপাতত ৪০টা গরু রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রোজ ৮০০ লিটার দুধ পাওয়া যাবে সেই ফার্ম থেকে। দুধ দোয়াবে রোবট। সব ঠিকঠাক থাকলে ফার্ম তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরের শেষে। উইঙ্গারডেনের বক্তব্য, এই ধরণের ফার্ম-এর সংখ্যা বাড়লে মানুষ টাটকা ডেয়ারি প্রোডাক্ট আরও বেশি পরিমাণে পাবেন। ফলে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কমবে।
গরুদের জন্য খাবারের বেশিরভাগটাই আসবে রটারডানের ফুড ইন্ডাস্ট্রি থেকে। গরুদের বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়া হবে গাড়িতে করে। কোনওভাবেই কোনওরকম নোংরা আবর্জনা জলে ফেলা হবে না।
২০৫০ নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৯.৮ বিলিয়ন মানুষের সংখ্যা বাড়বে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ থাকবে শহরে। এখন যেখানে ৫৫ শতাংশ মানুষ থাকেন। ডাঙায় মানুষের থাকার জায়গায় গবাদি পশুদের থাকতে অসুবিধা হতে পারে। এই ভাবনা থেকেই এমন ফার্মের পরিকল্পনা।
ফার্মের পাঁচিলে এভাবেই গাছ লাগানো থাকবে। সেগুলো গরুদের খাবার হিসাবে থাকবে। নিউজিল্যান্ড ও এশিয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও এমন ভাসমান ফার্ম করার কথা ভাবছেন উইঙ্গারডেন।
ফার্ম থেকে পাওয়া সার ও গ্যাস শক্তি উত্পাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে।
এমনই দেখতে হবে ফার্ম। ভাসমান অবস্থায় থাকা এই ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে স্পিড বোট বা ছোট স্টিমারের মাধ্যমে।