Janmashtami 2022 : রুদ্রাক্ষে বিশ্বাস ভালো, তবে পরে থাকলে এই চার সময়ে না-খুললে বিপদ!

Fri, 19 Aug 2022-5:01 pm,

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'রুদ্র' কথার অর্থ হল শিব এবং 'অক্ষ' কথার অর্থ হল চক্ষুজল। পুরাণে এই রুদ্রাক্ষ সৃষ্টির একটি কাহিনী আছে। কথিত আছে, অসুর ত্রিপুরকে বধ করতে মহেশ্বর শিব দীর্ঘকাল অপলক নেত্রে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে তাঁর ক্লান্ত চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে মাটিতে পড়ে আর সেই পবিত্র অশ্রুকণা থেকে গঠিত হয় রুদ্রাক্ষ। তাই রুদ্রাক্ষকে হিন্দুমতে ভীষণ শুভ ও পবিত্র মনে করা হয়। 

আসলে রুদ্রাক্ষ হল, 'এলাইওকার্পাস গণিট্রাস' নামক চিরহরিৎ বৃক্ষের বীজ। এই গাছগুলি সাধারণত পাহাড়ের নির্দিষ্ট উচ্চতায়, প্রধানত হিমালয় অঞ্চলে হয়। দীর্ঘকাল ধরে এই রুদ্রাক্ষ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষুক ও বাউলদেরও ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে লস এঞ্জেলসের 'সেলফ রিয়েলাইজেশন' পত্রিকায় রুদ্রাক্ষের প্রথম বৈজ্ঞানিক আলোচনা দেখা যায়। তারপর আরও নানা জায়গায় রুদ্রাক্ষের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়ার পর থেকে এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শাস্ত্রমতে, এমন কিছু কিছু সময় আছে যখন রুদ্রাক্ষ পরে তা অপবিত্র হয়ে যায়। অপবিত্র রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকলে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সন্তান জন্মের সময় মা ও সন্তান উভয়ই কিছু দিন অপবিত্র থাকে। জন্মের সময় থেকেই শুরু হয় অশৌচ। তাই যে ঘরে মা ও সন্তান আছেন সেই ঘরে রুদ্রাক্ষ খুলে প্রবেশ করতে হয়। সন্তানের নাম রাখার পর নিশ্চিন্তে আবার রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যায়।

কোন শবযাত্রায় অংশগ্রহণ করলে রুদ্রাক্ষ খুলে বাড়িতে রেখে যাওয়া উচিত। শ্মশানে অন্তিম সংস্কারের সময় রুদ্রাক্ষ পরে থাকলে তা অপবিত্র হয়ে যায় বলে মানা হয়। এতে জীবনে কষ্টের আগমন ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।

ধূমপান, মদ্যপান এবং আমিষ খাওয়ার সময় ভুলেও রুদ্রাক্ষ পরে থাকা উচিত না।

শাস্ত্র মতে, ঘুমোনোর সময় মানব শরীর অপবিত্র হয়ে যায়। তাই ঘুমোনোর সময়ও রুদ্রাক্ষ খুলে ফেলা উচিত।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link