ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিতে পারে এই ছ`টা বিষয়

Thu, 12 Jul 2018-8:47 pm,

# দুঃস্থদের বন্ধু

তিনটে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাম্বাসাডর রোনাল্ডো। সেভ দ্য চিল্ড্রেন, ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে আরও বহু সংগঠনকে তিনি বিভিন্নভাবে সাহায্যও করে থাকেন। ২০১৪-য় ব্যালন ডি'অর পুরস্কার নেওয়ার সময় রোনাল্ডো জানান, তিনিও একটা সময় রক্তল্পতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেভ দ্য চিল্ড্রেনকে তিনি বছরে একটা বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণ কখনও প্রকাশ পায় না।

 

# বোনাসদান

২০১৩-তে তিনি উয়েফা টিম অফ দ্য ইয়ার হয়ে ৮৯ হাজার ইউরো বোনাস হিসাবে পেয়েছিলেন। পুরো টাকাটাই তিনি রেড ক্রস-কে দান করে দিয়েছিলেন। এক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে সাড়ে চার লক্ষ ইউরো বোনাস পেয়েছিলেন রিয়াল থেকে। কিন্তু সেবারও তিনি পুরো অর্থ তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অনুদান করার সিদ্ধান্ত নেন।

# ট্যাটুহীন

রোনাল্ডো ঘন ঘন রক্তদন করেন। আর সে জন্য তাঁর শরীরে কোথাও তিনি ট্যাটু করান না। কারণ, ট্যাটু করালে তিনি হয়তো তাত্ক্ষণিক কারও রক্তের প্রয়োজন হলে দিতে পারবেন না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, রোনাল্ডো রক্তের সঙ্গে সঙ্গে অস্থি মজ্জাও দন করেন। একবার সিআরসেভেন বলেছিলেন, ''রক্ত দেওয়ার মতোই সহজ হল অস্থি মজ্জা দান। এতে তেমন ব্যথা লাগে না। আপনারা এগিয়ে এলে কারও জীবন বাঁচাতে পারেন।''

# অনেক বড় মন

২০০৭-এ রোনাল্ডোর মা ডলোরেস অ্যাভেইরোর স্তন ক্যানসার ধরা  পড়ে। সে সময় পর্তুগালের একটি ক্যানসার সেন্টার  তাঁর মায়ের পাশে দাঁড়ায় ও ডলোরেসকে সারিয়ে তোলে। রোনাল্ডো সেই ক্যানসার সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান। এবং ১২ লক্ষ ইউরো অনুদান দেন।

 

# ভক্তদের গডফাদার

প্রায়ই তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ম্যাচের মাঝে মাঠে ঢুকে পড়েন সমর্থকা। রোনাল্ডো কখনও এই ব্যাপারে ভক্তদের উপর রাগ করেন না। বরং ভক্তদের আবদার মেটান। বহুবার ভক্তদের নিরপত্তারক্ষীদে হাত থেকেও বাঁচান তিনি। অনেকেই বলেন, স্টেডিয়ামে ঢোকার পর ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসেন তিনি। কখনও জার্সি ছুঁড়ে দেন, কখনও সই, সেলফির বায়না মেটান।

# দাদার অভিভাবক

রোনাল্ডোর বাবা ডেনিস মদ্যপ ছিলেন। ২০০৫-এ মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি অ্যালকোহলের নেশা থেকে বেরোতে পারেননি। একটা সময় সিআরসেভেনের দাদা হুগো অ্যাভেইরোও সেই পথে হাঁটছিলেন। মদ ও ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দাদাকে মারণ নেশার হাত থেকে বের করে আনার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নেন রোনাল্ডো। শেষমেশ তাঁকে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে এনেছিলেন। হুগো প্রকাশ্যে রোনাল্ডোর অবদানের কথা স্বীকারও করেছেন একাধিকবার।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link