প্রেম বাঁচিয়ে রাখতে Handcuff পরেছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা, ১২৩ দিন পর যা ঘটল...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভালোবাসার মানুষটি যাতে তাঁকে ছেড়ে না যায়, তাই একে অপরকে শিকল দিয়ে বেঁধেছিলেন এক যুগল। হ্য়ান্ডকাফ পরেছিলেন তাঁরা। তাঁদের জীবনে যেন অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তি না আসেন, বা কেউ কারও আড়ালে কিছু না করেন অথবা নিজেকে স্বচ্ছ রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।
ইউক্রেনের বাসিন্দা। Alexandr Kudlay এবং Viktoria Pustovitova । তাদের ভালবাসার কথা আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। অদ্ভুত সিদ্ধান্তকে অনেকেই বাহবা দিয়ে ছিলেন সে সময়ে।
কিন্তু টিকল না এই ভালবাসা। ১২৩ দিনেই শেষ হয়ে গেল সম্পর্ক। লোক ডেকে যন্ত্র দিয়ে ভাঙতে হল শিকল। কাজ করল না এই বাঁধন। চোখের জলে ব্রেক আপ মেনে নিতে হল ভালবাসার মানুষকে।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এই হ্যান্ডকাফ পড়েছিলেন। কিন্তু যত দিন যেতে থাকে ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু না থাকায় বাড়তে থাকে তিক্ততা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিক্ষা নিতে হবে এই ঘটনাটি থেকে।
ব্রেক আপের পর ওই যুগল জানাচ্ছেন, তাঁদের এটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল। তাঁরা বাথরুম যাওয়া, বাসন মাজা, সিগারেট খাওয়া আড্ডা দেওয়া থেকে শুরু ফোন ঘাটা, সব সময় জুড়ে ছিলেন একে ওপরের সঙ্গে।
মূলত, হ্যান্ডকাফের ভাবনাচিন্তা আসে Viktoria Pustovitova-র মাথায়। ১২৩ দিন পর, তাঁরই দম বন্ধ হয়ে আসে, ব্রেক আপ চান তিনি।
তাঁরা বলেন, আমরা অনেক কিছু শিখলাম। একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে প্রয়োজন আছে আই লভ ইউ, আই মিস ইউ শোনার। এতে মন ভাল থাকে। কিন্তু, এই ১২৩ দিন একবারও শুনলাম না সেই কথা গুলো। ওঁর কোনও কথাই যেন বাকি ছিল না। সবটা যেন আমি জানি। ভাল লাগছিল না ।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা সম্পর্ককে দীর্ঘজীবী করতে চান, তাঁদের এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানা উচিত। ভালবাসার মানুষকে নিজেকে চেনার, কিছু করার জন্য ব্যক্তিগত সময় দিন।
তাঁদের কথায়, যত মুঠো শক্ত করে ধরতে যাবেন, তত আঙুলের ফাঁক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে সবটা। মুঠো আলগা করুন। ভালবাসার মানুষ থাকার হলে এমনিই থাকবে। বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
Alexandr Kudlay এবং Viktoria Pustovitova জানিয়েছেন, তাঁরা এই সম্পর্ক থেকে জানতে পেড়েছেন, ভালবাসার মানুষের বেশ কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে, যা সম্পূর্ণটা তাঁর নিজের। সব সময় যে সেটি তৃতীয় ব্যক্তি হবে তেমনটা নয়।
সন্দেহ ভেঙে দেবে আপনার সম্পর্ক। তাই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে। জীবনকে তাঁর পথেই এগোতে দিন। প্রেমের মানুষটি হবে আপনার ইঞ্জিন আর আপনি ঠিক তার পিছনের কামরা। এখন যদি ভেবে বসেন আমি কেন পিছনে থাকব! আমি আগে যাব, তাঁদের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ রিলেশনশিপের আয়ু বাড়াতে গেলে প্রয়োজন টিম ওয়ার্কের।