EXPLAINED | Indian Cricketer Alcohol Addiction: রাতে ১০ পেগ মদ খেয়ে পরদিন সকালে ১০০! নক্ষত্র ভারতীয় ক্রিকেটারের ১৪ বার রিহ্যাব হয়েছে
![বিনোদ কাম্বলির শারীরিক অবস্থা Vinod Kambli Health Condition](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/12/20/510115-kambli.png?im=FitAndFill=(500,286))
সম্প্রতি বারবার খবরে আসছেন নয়ের দশকের ভারতীয় ক্রিকেটের স্টার বিনোদ কাম্বলি। নেটপাড়ায় একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে কাম্বলির শরীরে একেবারে ভেঙে গিয়েছে। চারজনের কাঁধে ভর করে হাঁটছেন তিনি। কখনও আবার দাঁড়াতেও পারছেন না।
![একসময়ে কাম্বলি বোলারদের শাসন করতেন Vinod Kambli Once Ruler](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/12/20/510113-kambli.png?im=FitAndFill=(500,286))
একসময়ে কাম্বলি ছিলেন বোলারদের ত্রাস, রেয়াত করতেন না কাউকে। প্রাণের ছোটবেলার বন্ধু সচিন তেন্ডুলকরের, থেকেও তাঁকে অনেকে বেশি প্রতিভাবান বলে মনে করতেন অনেকে। সচিনের সঙ্গেই কাম্বলির স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ রয়েছে। তবে দেশের জার্সিতে মাত্র সাত বছর খেলেই কাম্বলি অন্ধকারে তলিয়ে যান।
![ব্যাড বয় বিনোদ Vinod Kambli Has Battled With Alcohol Addiction](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/12/20/510111-alcohol.png?im=FitAndFill=(500,286))
অত্য়ন্ত বেহিসেবি ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনই তাঁকে 'ব্যাড বয়' বানিয়ে ফেলে। মদের আসক্তি তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল। মদের নেশার ছাড়াতে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। নক্ষত্র ভারতীয় ক্রিকেটারের ১৪ বার রিহ্যাব হয়েছে। এমনই মদের নেশা ছিল কাম্বলির যে, রঞ্জি চলাকালীন ম্য়াচের আগের রাতে ১০ পেগ মদ খেয়েছিলেন তিনি, কোচ ভেবেছিলেন যে, হয়তো কাম্বলি আর উঠবেন না, কিন্তু এমনই প্রতিভাবান ছিলেন যে, পরেরদিন সকালে সেঞ্চুরি করেছিলেন
১৭ টেস্ট ১০৪ ওডিআই খেলা কাম্বলির শরীরের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে এক ওভারে ২২ রান মারা ক্রিকেটারের আজ এই অবস্থা! কার্যত দেউলিয়াই হয়ে গিয়েছেন কাম্বলি। বিসিসিআই-এর থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান।
সুনীল গাভসকর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, '১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের, আমরা সকলেই তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যাপারে খুবই সচেতন। ওদের যদি বয়স দেখেন, তাহলে আমার কাছে কেউ নাতির মতো, কেউ ছেলের মতো। বিশেষ করে যখন ভাগ্য সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে, আমি সাহায্য শব্দটি পছন্দ করি না। ৮৩-র দল যা করতে চায়, তা হল যত্ন নেওয়া। আমরা বিনোদ কাম্বলির যত্ন নিতে চাই এবং তাকে নিজের পায় দাঁড় করাতে চাই। আমরা কীভাবে করব, তা আমরা ভবিষ্যতে দেখব। আমরা এমন ক্রিকেটারদের যত্ন নিতে চাই, যারা লড়াই করছে যখন ভাগ্যের প্রতিকূলে।'