Team India Captaincy Change: বেঙ্গালুরু টেস্টের মাঝেই বড় খবর, ভারতীয় দলের অধিনায়ক বদল! এবার টগবগে রক্তের আমদানি
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের অবস্থা ছিল খুবই সঙ্গিন! সরু সুতোর উপর হরমনপ্রীত কৌররা ঝুলছিলেন। এই অবস্থায় ভারত ভরসা করেছিল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তান-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের দিকেই চোখ ছিল ভারতের। বিশ্বযুদ্ধের এই ম্য়াচে পাকিস্তান যদি হোয়াইট ফার্নদের হারিয়ে দিতে পারত, তাহলেই ভারতের কেল্লাফতে হয়ে যেত। হরমনপ্রীত কৌররা চলে যেতে পারতেন সেমিফাইনালে। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিততে তো পারলই না, উল্টে ভারতকে নিয়েই বিশ্বকাপে ডুবল তারা। ভারত ও পাকিস্তান একসঙ্গে একই দিনে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে! দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য আসামীর কাঠগড়ায় হরমনপ্রীত কৌর।
টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায়ের পরেই হরমনপ্রীতকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠছে হরমনপ্রীতের অধিনায়কত্ব নিয়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবার ভেবে দেখবে যে, এখন নতুন অধিনায়কের প্রয়োজন কিনা! হরমনপ্রীতদের হেড কোচ অমল মুজুমদার এবং নির্বাচক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিসিসিআই। তারপরেই ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, হরমনপ্রীতকে অধিনায়ক হিসাবে রাখা হবে কি হবে না!
বিসিসিআই-এর এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম রিপোর্ট করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, 'বিসিসিআই নিশ্চিত ভাবেই নতুন ক্যাপ্টেনের বিষয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় বোর্ড সবই দিয়েছে যা চাওয়া হয়েছিল। এবং আমরা মনে করি এখনই সময় এসেছে একজন নতুন মুখকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়ার। সেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামী দিনে। হরমনপ্রীত দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে থাকবেন। তবে বিসিসিআই মনে করছে যে, এটা পরিবর্তনের সময়।'
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ যদিও চাইছেন যে, হরমনপ্রীত অধিনায়ক হিসেবেই থাকুক। তিনি পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, 'এটা বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তারা যদি পরিবর্তন করতে চায় তবে এটিই হবে আদর্শ সময়। কারণ যদি আরও দেরি করলে, সামনে আরেকটি বিশ্বকাপ রয়েছে দুই বছরের মধ্য়ে। এখন অধিনায়ক বদল না করলে পরে যেন করা না হয়। পরে করলে বিশ্বকাপ খুব কাছে চলে আসবে। স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে দলের ভাইস-ক্য়াপ্টেন রয়েছে। নির্বাচকরা তাঁর নাম বিবেচনা করতে পারে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জেমিমার মতো তরুণী কেউ দায়িত্ব নিক। ওর মাত্র ২৪ বছর বয়স। ও টি-টোয়েন্টিতে দেশকে আরও অনেক বেশিদিন সার্ভিস দেবে। ও সবার সঙ্গে কথা বলে। ওর মধ্য়ে একটা প্রাণশক্তি রয়েছে। এই টুর্নামেন্টে ওকে দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি।'