অভয়ার আরাধনায় কুলতলির `অপু-দুর্গাদের` মুখে হাসি ফোটাচ্ছে কুমারটুলি সর্বজনীন
অয়ন ঘোষাল : ৯০ বছরে পদার্পণ করল কুমারটুলি সর্বজনীনের দুর্গা আরাধনা। পুজো এবার দায়বদ্ধতার। তাই একসঙ্গে ২টো পুজো। একটি কুমারটুলির দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিটে। আর দ্বিতীয়টি সুন্দরবনে। কুলতলি থানার শ্যামনগর গ্রামে। যেখানে আমফান ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছে অপু-দুর্গার মুখের হাসি।
তাই দেবীপক্ষের সূচনায় ১৭ অক্টোবর দুর্গাচরণ স্ট্রিটে যখন মা অভয়ার চক্ষুদান পর্ব শুরু হবে, ঠিক তখনই সুন্দরবনের শ্যামনগরে পৌঁছাবে একচালার ছোট্ট দুর্গাপ্রতিমা।
সেইসঙ্গে যাবে শ্যামনগর গ্রামের ১৯২টি বাড়ির প্রায় পৌনে ৮০০ বাসিন্দার জন্য নতুন জামাকাপড়। একইসঙ্গে পুজোর চারদিনের খাওয়া-দাওয়ার রসদ ও পানীয় জল। এমনটাই জানিয়েছেন কুমারটুলি সর্বজনীনের কর্মকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য।
এবার পুজোয় দুর্গাপ্রতিমাকে দেখা যাবে 'অভয়া' রূপে। প্রতিমায় থাকবে মাত্র ৪টি হাত। থাকছে না অসুর। কুমারটুলি সর্বজনীনের প্রতিমা শিল্পী অরূপ পাল জানিয়েছেন, বুদ্ধের আদলে বরাভয় মূর্তি তৈরি করা হয়েছে এবার।
চমক আরও আছে। এবারের পুজোর থিম শিল্পী একজন করোনা যোদ্ধা। কলকাতার এক খ্যাতনামা বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থকর্মী কান্তিক রায় এবার কুমারটুলি সর্বজনীনের থিমমেকার। যিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন ও লড়েছেন করোনার সঙ্গে। তাঁর সেই অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই থিম রচনা করা হয়েছে। থিম ভাবনায় ইতিউতি উঁকি দিয়েছে সেই লড়াইয়ের ইতিকথা।
করোনা আবহে এবার চ্যালেঞ্জের পুজো। শহরের বেশিরভাগ পুজো কমিটিই এবার মানবপুজোয় অঙ্গীকারবদ্ধ। তার ব্যতিক্রম নয় কুমারটুলি সর্বজনীনও। ক্লাবকর্তাদের কথায়, এবারের চ্যালেঞ্জের পুজোয় প্রতিমা ও থিমে বাড়তি আরও বেশ কিছু পাওনা দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে।