দৈনিক ২০০০ শিশুর জন্য ২০০০ লিটার দুধ! ২১ জুলাইয়ের জোর প্রস্তুতি সেন্ট্রাল পার্কে
অয়ন ঘোষাল : একুশে জুলাইয়ের জোর প্রস্তুতি করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে। উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে আসা কর্মীদের করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মোট ৩০ হাজার কর্মীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতি জেলার জন্য একেকটি পৃথক হ্যাঙ্গার। প্রতি হ্যাঙ্গারের মাপ ৩০০ বাই ২০০ ফুট। রয়েছে মেগা কিচেন প্লাস ডাইনিং হল।
এক-একবারে সেখানে ২০০০ মানুষকে খাবার সরবরাহের জন্য রয়েছে ২০টি করে কাউন্টার। ডাইনিং ছাউনিতে একসঙ্গে ৪০০০ মানুষের বসে খাওয়ার জায়গা।
মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকছে ২ টো। দিনে ৩ শিফটে সেখানে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা ৭০ জন। স্বাস্থ্যকর্মী ২৫০। দিবারাত্র ডেডিকেটেড অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি আছে ২০টা।
অগ্নি নির্বাপক মোটরবাইক ১২টি। এসি সেমিনার হল রয়েছে ১টা। এসি মিটিং রুম রয়েছে ১টা।
স্বেচ্ছাসেবক থাকছেন প্রতি ৪ ঘন্টায় ২০ জন। ১০ জন পুরুষ। ১০ জন মহিলা। পরের ৪ ঘন্টায় আবার অন্য ২০ জন। এইভাবে রাউন্ড দ্য ক্লক পরিষেবার ব্যবস্থা।
এককালীন স্নানের ব্যবস্থা ১২০০ জনের। ৬০০ পুরুষ ও ৬০০ মহিলা শৌচালয় । ৫০০ অস্থায়ী বায়ো টয়লেট। আর এমনিতেই যেহেতু মেলা প্রাঙ্গন, তাই আরও ৬টি স্থায়ী গণ শৌচালয়ও রয়েছে।
বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৫০ জন সাফাইকর্মী থাকছেন। তাদের ৩ শিফটে ৮ ঘণ্টা করে রাউন্ড দ্য ক্লক ডিউটি।
মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশাহারের মেন্যুতে থাকছে ভাত, ডাল, সিজনাল মিক্স সবজি এবং ১ টা করে ডিম। দৈনিক ২০০০ শিশুর জন্য (যারা কর্মী পরিবারের সঙ্গে এখানেই আছে) দিনে ২০০০ লিটার দুধের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাথাপিছু প্রতি বেলায় হাফ লিটারের দুধের পাউচ।