চোরদের তাড়ানোর ডাক হার্দিকের, `ঐক্যবদ্ধ ভারত` গড়ার ডাক জিগনেশের

Sat, 19 Jan 2019-12:31 pm,

ব্রিগেডে বক্তৃতা রাখার জন্য প্রথমেই গুজরাটের তরুণ নেতা হার্দিক প্যাটেলকে বেছে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দিদি'কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন হার্দিক। বলেন, "দেশকে বাঁচাতে একজোট হওয়ার সময় এসেছে। সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজদের সঙ্গে লড়েছিলেন, আমাদের সবাইকে চোরদের সঙ্গে লড়তে হবে।"

গুজরাটের দলিত মুখ জিগনেশ মেওয়ানি বলেন, আজ এই মঞ্চে বিরোধীরা সবাই একজোট হয়েছে একটাই বার্তা দিতে। আমাদের দেশ ভারতে আজ ঘোর  দুর্দিন। দলিত, শ্রমিক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ শোষিত। প্রতি মুহূর্তে সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। অবিজেপি জোট ক্ষমতায় এলে কৃষকের আত্মহত্যা রুখবে। বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন বলেন, সব আঞ্চলিক দল একজোট হয়েছে। এই মঞ্চের মাধ্যমেই আগামীদিনে সব আঞ্চলিক দল সাম্প্রদায়িক শক্তির জবাব দেবে। ৪ বছর ধরে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

 

অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করার প্রচেষ্টায় ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। অবিজেপি দলগুলিকে একত্রিত হয়ে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে উত্খাত করার ডাক দেন অরুণাচল প্রদেশের ৫ বারের মুখ্যমন্ত্রী।

মিজোরামের জোরাম ন্যাশনাল পার্টির নেতা লালডুহোমা বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত দাবানলের মতো জ্বলছে। যার জন্য দায়ী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের খসড়া। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার মানুষের খাওয়া-পরা সবকিছুর উপর নজরদারি চালাচ্ছে। দেশে একটা অসিহষ্ণু পরিবেশ (ফুল অফ আনকনফিডেন্স) তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির বদল ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এই ঐতিহাসিক জমায়েত।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link