ঘাসফুল পতাকায় বন্দি অমিত-মঞ্চ
কমলিকা সেনগুপ্ত: ১১ অগস্ট দলের যুব মোর্চার সভায় কলকাতায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ওই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাবেন অমিত। তার আগেই মোদীর সেনাপতিকে ঘিরে ফেলল তৃণমূল।
শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় পা রাখার আগেই মেয়ো রোড চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে ঘাসফুল পতাকায়।
যেখানে মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে, সেখানেও রেলিংয়ে পতপত করে উড়ছে ঘাসফুল পতাকা।
শুধু ঘাসফুল পতাকাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
সাধারণত রাজনৈতিক দলের সভায় তাদের নিজস্ব পতাকাই থাকে। কিন্তু অমিতের সভার ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অস্থায়ী কাঠামোর উপরেই লাগানো হয়েছে তৃণমূলের পতাকা।
এর আগে অমিত শাহের বীরভূম সফর ও নরেন্দ্র মোদীর মেদিনীপুর সভার আগেও মমতার ফ্লেক্স ও তৃণমূলের পতাকায় গোটা এলাকা মুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মেদিনীপুরের সভায় নিজস্ব ভঙ্গিতে খোঁচাও দিয়েছিলেন নমো। হাত জোড়ে থাকা মমতার ২১শে জুলাইয়ে পোস্টারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাকে স্বাগত জানাতে করজোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে।এর জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে স্বাগত জানাতে পোস্টার-ব্যানার লাগাতে হয়েছে, হাতজোড় করে অভ্যর্থনা জানাতে হয়েছে। এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’’
এবার আর তাই মমতার ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েনি। যে কটি রয়েছে, তাতে রণংদেহি মেজাজে তৃণমূল নেত্রী। লেখা রয়েছে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লহ প্রমাণ'।
১১ অগস্ট অমিতের সভায় ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তার আবেদন করেছে বিজেপি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মোদীর সভায় শামিয়ানা ভাঙার পর এবার অতিরিক্ত সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সকালে সভার প্রস্তুতি তদারকি করেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও ও মুকুল রায়।