এক্সক্লুসিভ: গোমাতার পুজো করেই তৃণমূল নেতা বললেন,`আমি গোহত্যার বিরোধী`
কমলিকা সেনগুপ্ত ও দীপঙ্কর দাস: গোপাষ্টমীতে গোপূজন করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বজাজ।
শুধু তাই নয়, গোহত্যার বিরোধিতাও করলেন তৃণমূল নেতা।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ধুমধাম করে গোপাষ্টমী উদযাপন করা হয়। গোপাষ্টমীতে শ্রী কৃষ্ণ ও গরুর পুজো করেন ভক্তরা। এবারই প্রথমবার গোপাষ্টমীর উদযাপন করল তৃণমূল।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ধুমধাম করে গোপাষ্টমী উদযাপন করা হয়। গোপাষ্টমীতে শ্রী কৃষ্ণ ও গরুর পুজো করেন ভক্তরা। এবারই প্রথমবার গোপাষ্টমীর উদযাপন করল তৃণমূল।
মধ্যমগ্রামের বাদুতে গোশালায় গরুর মাথায় তিলক কেটে রজনীগন্ধার মালা দিয়ে পুজো করেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বজাজ।
পুজোর পর দীনেশ বজাজ বলেন, ''গোমাতার পুজো করি। তাই গোহত্যার বিরোধী''।
রাজ্যে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি দেখেই কি হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিতে চাইছে তৃণমূল? দীনেশ বজাজের জবাব, আমরা বিজেপির থেকে হিন্দুত্বের শংসাপত্র নিতে চাই না। এটা বিজেপির কর্মসূচির পাল্টা নয় বলেও মনে করিয়ে দেন তৃণমূল নেতা।
দীনেশ বজাজের অভিযোগ, বাংলায় জমি পেতে ধর্মের রাজনীতি করছেন দিলীপ ঘোষরা।
তৃণমূল নেতার গোপাষ্টমী উদযাপনের মধ্যে রাজনীতির যোগ খুঁজছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, রাজ্যে বিজেপির উত্থানে মেরুকরণ স্পষ্ট হচ্ছে। তার পাল্টা এই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির পালের হিন্দুত্বের হাওয়া কাড়তে চাইছে তৃণমূল। যদিও হিন্দুত্বের রাজনীতি পোড়খাওয়া বিজেপিকে কতটা টক্কর দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে সংশয়ে রাজনীতির কারবারিরা। উল্লেখ্য, বিজেপিকে টেক্কা দিতে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকেই 'নরম হিন্দুত্বে'র পথ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী।