তাঁর দিকেই অভিযোগের তির, বিধায়ক খুনে মুখ খুললেন মুকুল রায়
সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। এই খুনের পিছনে তাঁর হাত রয়েছে। তিনি-ই ষড়যন্ত্র করেছেন বলে সরব হয়েছে শাসকদল। নদীয়ায় বিধায়ক খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইএরও।
কিন্তু, মুকুল রায় সেই অভিযোগের তির পাল্টা ফিরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। তাঁর সাফ দাবি, তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুন।
মুকুল রায় বলেন, নিজেদের লোকের মধ্যেই ছিলেন সত্যজিত বিশ্বাস। সেখানে তৃণমূলের লোকজন ছাড়া আর কারও থাকার কথা নয়। বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস খুনের ঘটনায় জন্য নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। সিআইডি, সিবিআই নয়, দরকারে অন্য কোনও রাজ্যের এজেন্সিকে দিয়েও তদন্ত করা হোক বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, তাহলেই সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
নদীয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তকেও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন মুকুল রায়। বলেন, "গৌরীশঙ্কর দত্ত বুকে হাত দিয়ে বলবেন কে খুনটা করেছিলেন।"
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৫ সাল থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গেই সত্যজিত বিশ্বাসের একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল।
উল্লেখ্য, এলাকায় মতুয়া মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন সত্যজিত বিশ্বাস। দক্ষ সংগঠক ছিলেন। মতুয়াদের মধ্যে যথষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সত্যজিত বিশ্বাস।
আর সেই কারণেই 'পথের কাঁটা' সরাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিকল্পনা করে সত্যজিত বিশ্বাসকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মতুয়া ভোটের জন্য ক্রিমিনাল ভাড়া করে মুকুল রায় সত্যজিত বিশ্বাসকে খুন করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ করও।
সত্যজিত বিশ্বাস খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে পথে নামছে মতুয়া মহা সংঘ। 'মতুয়া মৃত্যু বিজেপির হাতে' এই অভিযোগে ৩ জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরনগর, মাজদিয়া-কৃষ্ণগঞ্জ ও কৃষ্ণনগরে প্রতিবাদ সভার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সোমবার নিহত বিধায়কের বাড়ি যাচ্ছেন মমতাবালা ঠাকুর ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।