`দেশজুড়ে ধর্মের নামে ঘৃণা`, নাসিরুদ্দিন শাহের বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় টলিপাড়া
দিন কয়েক আগে নাসিরুদ্দিন শাহের একটি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সমাজের মধ্যে ধর্মের বিষ ঢুকে গিয়েছে। তাঁর সন্তানদের ধর্মের তালিম দেননি। ফলে ভিড় ঘিরে ধরলে তাঁরা হিন্দু না মুসলিম বলতে পারবেন না। ভয় নয়, রাগ হচ্ছে তাঁর। নাসিরুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
ফের অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহর বক্তব্য ঘিরে তোলপাড়। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া একটি ভিডিয়ো টুইট করেছে। ভিডিয়োতে নাসিরুদ্দিন শাহকে বলতে শোনা যাচ্ছে,''দেশজুড়ে ধর্মের নামে ঘৃণার দেওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।''। ওই ভিডিয়োয় নাসিরুদ্দিন বলছেন, ২৬ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে লাগু হয়েছিল সংবিধান। তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, বাক স্বাধীনতা, ধর্মচারণ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল''। নাসিরুদ্দিন শাহর বক্তব্য যেখানে একসময় আইন ছিল। আজ সেখানে অন্ধকার।
অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহর এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন টালিগঞ্জের কিছু অভিনেতা। দেখুন কে কী বলছেন...
বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব, তথা টলিউড অভিনেতা কৌশিক সেনের কথায়, '' এটা তো শুধু ওনার মন্তব্য নয়, ওনার পর্যবেক্ষণ। উনি শুধু আন্তর্জাতিক মানের অভিনেতাই নন, উনি আমার দেশের নাগরিক ও আমার দেশেক গর্ব। তিনি যখন এধরনের কথা বলছেন, তখন বুঝতে হবে সাম্প্রতিক কালে অনেক ঘটনা ওনাকে নাড়া দিয়েছে। একজন শিল্পী যদি প্রতিক্রিয়া না দেন, তাহলে কে করবে? ওনার মনে হয়েছে আমাদের চারপাশটা ঠিক নেই। ''
টলিউড অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্যের কথায়, '' নাসিরজীর বক্তব্যের বিচার করার আমি কেউ নই। সে যোগ্যতা আমার নেই, কারণ নাসিরজীর জীবনের অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, দেশ বলে যে ধারনাটা গেলানোর চেষ্টা চলছে সেটা না গেলার মতো শিক্ষাদীক্ষা আমার আছে। দেশ বলে যে ধারনাটা মনুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তার আগে উচিত নিজের দেশটা যাচাই করে নেওয়া। ''
দেশ ও সরকার গুলিয়ে ফেলছেন 'নাসির স্যার', মনে করছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''এর আগে নাসির স্যারের সমস্ত মন্তব্যের সঙ্গে ছিলাম, তবে তিনি এখন একটা দেশ ও দেশের সরকার এই বিষয় দুটো আলাদা, এই দুটো তিনি গুলিয়ে ফেলছেন।''