শীতে বেড়ানোর পরিকল্পনা করছেন? আপনার গন্তব্য হতেই পারে এই পাহাড়ি জায়গাগুলো
লকডাউনে দীর্ঘদিন হল বাড়িতে আটকে রয়েছেন। সেই 'একঘেয়েমি' কাটাতে এবার শীতে টুক করে কোনও পাহাড় ঘেরা মনোরম জায়গায় ঘুরে আসতেই পারেন। তারমধ্যে কাছেপিঠে কোথাও যেতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতেই পারেন এরাজ্যের 'লাভা'। এখন প্রশ্ন কীভাবে যাবেন? কলকাতা থেকে বাসে কিংবা ট্রেনে এনজিপি, অথবা বিমানে বাগডোগরা পৌঁছে যান। তারপর সেখান থেকে গাড়িভাড়া করে সোজা চলে যান লাভা।
উত্তর সিকিমের ইয়ামথাং উপত্যকা। একে 'ভারতের সুইজারল্যান্ড' বললেও ভুল হবে না। প্রথমে কলকাতা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে গ্যাংটক। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের দূরত্ব ১১৪ কিলোমিটার। গ্যাংটক থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন ইয়ামথাং উপত্যকা। ১১৬ কিলোমিটারের রাস্তা।
শীতে ঘুরে আসতেই পারেন কাশ্মীরের গুলমার্গে। কিন্তু যাবেন কীভাবে? কলকাতা থেকে সরাসরি জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই। জম্মু নেমে শ্রীনগর যেতে হবে বাস বা রিজার্ভ কারে করে। শ্রীনগর থেকে প্রায় ৫২ কিমি দূরে অবস্থিত। গাড়ি ভাড়া করে সেখানে পৌঁছে যেতে পারেন।
এবার শীতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে অরুণাচলপ্রদেশের জিরো। নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? অরুণাচলে সত্যিই রয়েছে জিরো উপত্যাকা। এই শীতে এবার সেখানে ঘুরে আসতেই পারেন। প্রথমে কলকাতা থেকে ইটানগর চলে যান। তারপর সেখান থেকে শেয়ার জিপে জিরোর দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার।
তিব্বতে না যেতে পারলেও তিব্বত ভ্রমণের স্বাদ নিতে শীতে ঘুরে আসতে পারেন হিমচলপ্রদেশের পাহাড়ি শহর ধরমশালাতে। সাধারণত এখানে সারা বছর এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। যদিও করোনাকালে তা কিছুটা কমেছে। দলাই লামার প্রচেষ্টায় এই শহরেই গড়ে উঠেছে তিব্বতী শরণার্থীদের বাসস্থান। কলকাতা স্টেশন থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে পাঠানকোট নেমে গাড়িতে আশি কিলোমিটার দূরে ধরমশালা।
শীতে শৈলশহর ভ্রমণের মজাই হয়ত কিছু আলাদা। এবার শীতে ঘুরে আসতেই পারেন উত্তরাখন্ডের আউলি।উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠ থেকে ১৬ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত আউলি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে এখানে। কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে, গাড়িতে বা ট্রেনে পৌঁছে যেতে পারেন হরিদ্বার বা হৃষীকেশ। সেখানে রাত কাটিয়ে পরদিন চলে যা যোশিমঠ। তারপর সেখানথেকে রোপওয়ে চড়ে পৌঁছে যান আউলি।